পরীক্ষা কেন্দ্রে দেরি পৌঁছেছিলেন পরীক্ষার্থী। ফলে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তখন কেন্দ্রের গেট বন্ধ থাকায় পরীক্ষার্থী যা করলেন তাতে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। গেটের নিচ দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করলেন পরীক্ষার্থী। এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। এক তরুণীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার জন্য গেটের নিচ দিয়ে যেতে দেখা যায়। এই ঘটনায় সময়ানুবর্তিতা নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এবং কেউ কেউ পরীক্ষায় অনুপস্থিত হওয়া এড়াতে কতটা সময় নেওয়া উচিত? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: শিশু কোলে নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা নয়, নকল রুখতে নির্দেশ পর্ষদ সভাপতির
এই ঘটনার ভিডিয়ো ‘apna_nawadah’ নামে একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। ভিডিয়োতে দেখা যায়, পরীক্ষা কেন্দ্রের গেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তরুণী একটি গেটের নিচ দিয়ে হামাগুড়ি দিচ্ছেন। আর তাকে ভিতরে ঢোকার জন্য সাহায্য করছেন অন্যরা। পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার জন্য তরুণী যেভাবে সংকীর্ণ ফাঁক গলেই ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন নেটিজেনদের অনেকের কাছেই হাস্যকর এবং অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়েছে।
ঘটনাটি বিহারের নওয়াদা বাজারের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের। একদল পড়ুয়া দেরিতে পৌঁছলে এই ঘটনা ঘটে। এই পড়ুয়াদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। একাধিক প্রচেষ্টার পরেও তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেন আধিকারিকরা। এই ঘটনায় নিয়মের এই কঠোরতা এই ধরনের সমস্যাগুলি এড়াতে সময়মতো পৌঁছানোর গুরুত্ব তুলে ধরে।
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে বহু মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন, যারা সম্ভবত পরিক্ষার্থীদের অভিভাবক। তরুণী যে গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে তার বাইরে পুলিশও ছিল। তবে পুলিশের তরফে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হতেই বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘যদি আপনি দেরি করেন তবে আপনি দেরি করছেন।’ সময়ানুবর্তিতা কঠোরভাবে প্রয়োগের জন্য সমর্থন প্রকাশ করে আরেকজন লিখেছেন, ‘এমনভাবে গেটের নিচে দিয়ে যাওয়াটা একটু বেশিই হয়ে যাচ্ছে।’ কেউ কেউ আবার পরিক্ষার্থীর প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘এটা একটা বড় প্রতিভা। আগামীর জন্য শুভেচ্ছা রইল।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘অন্তত তিনি খারাপ উপায় অবলম্বন করে নিয়ম ভাঙেননি।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘সফলতার রাস্তা এখান থেকেই তৈরি হয়ে গিয়েছে।’
অন্যজন মজা করেই লিখেছেন, ‘এটা বিহার।এখানে যে কোনও কিছু ঘটতেই পারে।’ একজন লিখেছেন, ‘তিনি পরীক্ষায় ভালো ফল করবেন। পরীক্ষার জন্য ভালো প্রস্তুতি নিয়েছেন বলেই এতদূর যেতে পেরেছেন।’ তবে এই ধরনের নিয়মের কঠোরতা পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। একজন লিখেছেন, ‘এই নিয়ম পরিবর্তন করার সময় এসেছে। এক মিনিট দেরি হলে কারও ভবিষ্যৎ নষ্ট করা উচিত নয়।’