মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ফোনো কথা হল গতকাল। ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যকার সংঘাতের অবসান ঘটাতে সম্মত হয়েছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধানই। ট্রুথসোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প এই নিয়ে লেখেন, 'প্রেসিডেন্ট পুতিন আজ সকালে ফোন করে আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল ইরান সম্পর্কে কথা বলেছেন তিনি। এই দেশটিকে তিনি খুব ভালোভাবে জানেন। আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি এই নিয়ে। তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়ে কথা বলতে অনেক কম সময় ব্যয় হয়েছে, তবে সেটা আগামী সপ্তাহে হবে। তিনি পরিকল্পিত ভাবে বন্দি আদানপ্রদান করছেন - উভয় পক্ষ থেকে অবিলম্বে বিপুল সংখ্যক বন্দি বিনিময় হচ্ছে। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে চলে এই ফোন কলটি। আমার মতো তিনিও মনে করেন ইজরায়েল-ইরানের এই যুদ্ধ শেষ হওয়া উচিত।' এদিকে পুতিনকে ‘তাঁর যুদ্ধও’ বন্ধ করতে নাকি বলেছেন ট্রাম্প। (আরও পড়ুন: AI দুর্ঘটনার পর ফের মাঝ আকাশে বিপত্তি, উত্তরাখণ্ডে ভেঙে পড়ল হেলিকপ্টার, মৃত বহু)
আরও পড়ুন: আমেরিকায় আইনপ্রণেতাকে খুন করা বন্দুকবাজের হিটলিস্টে 'ভারত বিরোধী' ডেমোক্র্যাট?
এদিকে ইরান ও আমেরিকার মধ্যে ষষ্ঠ দফা পরমাণু আলোচনা বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মধ্যস্থতাকারী ওমান। এরই মাঝে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা হয় ইরান নিয়ে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানই ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাত 'কূটনীতি ও সংলাপের মাধ্যমে' সমাধান করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। উল্লেখ্য, 'অপারেশন রাইজিং লায়ন'-এর অধীনে ইজরায়েলি বিমান হামলা কাঁপিয়ে দেয় ইরানকে। এই অভিযানে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের প্রধান হোসেইন সালামি এবং সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ জেনারেল মহম্মদ বাঘেরিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এদিকে ইরানও পালটা হামলা চালিয়েছে তেল আবিবে। এতে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। (আরও পড়ুন: গভীর রাতে ফের ইজরায়েলের ওপর হামলা, ইরানে দাউ দাউ করে জ্বলছে জ্বালানি ভাণ্ডার)
এদিকে ইরানের ওপর হামলার যুক্তি হিসেবে ইজরায়েল বলেছে, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। ইরানের ওপর হামলার পর ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, 'ইজরায়েলের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ইরানে অভিযান চালিয়েছে।' ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেই আবার এর জবাবে 'জোরালো পদক্ষেপ' নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন এবং এরপর ইরান তেল আবিবকেও লক্ষ্য করে কয়েক দফা হামলা চালিয়েছে। গতকাল মধ্যরাতের কিছু আগে তেল আবিবসহ ইজরায়েলের বেশ কিছু অংশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছিল। এরপর ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী এবং ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন উভয়ই ঘোষণা করে যে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র দেগেছিল ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে। এরপর তেহরানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন নিশ্চিত করে। পরে ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী বলে, তারা তেহরানে 'সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে' হামলা চালিয়েছে।