আমদাবাদ-লন্ডনগামী বিমানের ১১ এ আসনে বসেছিলেন বিশ্বাস কুমার রমেশ। ভেঙে পড়েছিল সেই বিমান। চিকিৎসকদের হস্টেলের ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল আস্ত বিমান। দাউ দাউ করে আগুন ধরেছিল। আর সেই জ্বলন্ত বিমান থেকে বেরিয়ে এলেন বিশ্বাস কুমার রমেশ। গল্পের মতো মনে হলেও পুরো সত্যি।
এমার্জেন্সি গেটের কাছেই ১১এ আসনে বসেছিলেন বিশ্বাস কুমার রমেশ। বেঁচে গিয়েছেন তিনি। আর তারপরই অনেকের মনে একটাই প্রশ্ন কীভাবে বেঁচে গেলেন বিশ্বাস কুমার রমেশ?তবে কি ১১ এ আসনে বসলেই বাঁচা যাবে দুর্ঘটনা হলেও? প্রসঙ্গত এমার্জেন্সি গেটের কাছেই ওই আসন ছিল।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে এভিয়েশন এক্সপার্টরা বলছেন এমার্জেন্সি গেটের কাছে সিট পেলেই দুর্ঘটনা হলেও বেঁচে যাওয়া যাবে এমনটা নয়। এটা আলাদা কোনও সুরক্ষা দেয় না। তবে এখানে পা রাখার ভালো জায়গা থাকে। এটা বলা যায়। তবে এই আসনটা এখন মানসিক শান্তি দিচ্ছে অনেককে।
আসলে বিশ্বাস কুমার রমেশ তো বসেছিলেন ওই আসনেই।
এমনকী বিশ্বাস এমন জায়গায় গিয়েছে যে এমার্জেন্সি গেটের পাশে আসন না পেলেও ১১ এ আসনটাকে অনেকে লাকি মনে করছেন। তার জেরে এখন অনেকে খুঁজছেন সেই ১১ এ আসন। তবে এর বাস্তব কোনও ভিত্তি নেই বলেই মনে করছেন অনেকেই।
এদিকে অনেকে আগে এমার্জেন্সি দরজার কাছে আসন চাইতেন না। কারণ তাদের ওই আসন নিয়ে বাড়তি কোনও আগ্রহ ছিল না। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই এবার খুঁজছেন এমার্জেন্সি দরজার কাছে আসন।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে লি রোডের এক বাসিন্দা আগামী ১৬ জুন মুম্বই যাবেন। তিনি এমার্জেন্সি এক্সিটের কাছে আসন চেয়েছেন। কারণ তাঁর বিশ্বাস ওখানে আসন থাকলে বাঁচার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি।
ট্রাভেল এজেন্টরাও বলছেন, অনেকেরই খুঁজছেন এমার্জেন্সি এক্সিটের কাছের আসন। অনেকে আবার এমার্জেন্সি এক্সিটের পাশে আসন না হলেও ১১ এ আসন চাইছেন। যে নম্বরের আসনে বসেছিলেন বিশ্বাস কুমার রমেশ।
আসলে সবটাই বিশ্বাস। কথায় আছে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু। তর্কে বহু দূর। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই আসন বা এমার্জেন্সি এক্সিটের কাছে আসন হলেই দুর্ঘটনায় বেঁচে যেতে পারেন যাত্রীরা এমনটা বলা যায় না।
অনেকের মতে, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা অনেকের মনেই কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছে। সেকারণে এবার বিমানে উঠে যাতে মানসিক শান্তি মেলে সেকারণেই ১১ এ আসন চাইছেন অনেকে। সবটাই বিশ্বাস। সবটাই মানসিক শান্তির খোঁজে।