সংসদে 'মুখ ফসকে' মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। জাতীয় শিক্ষা নীতি ইস্যেতে তামিলনাড়ুকে নিয়ে করা ধর্মেন্দ্র প্রধানের মন্তব্যের বিরুদ্ধে আজ বক্তব্য রাখছিলেন খাড়গে। সেই সময় রাজ্যসভার চেয়ারে ছিলেন ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং। খাড়গে সেই সময় সরকারকে উদ্দেশ্য করেই বলে বসেন, 'আমরা কথা বলতে প্রস্তুত। আপনাদের যেমন ঠুকতে হয়, তেমন ভালো ভাবে ঠুকব।' তাঁর এই মন্তব্যের পরই বিজেপির সাংসদরা সরব হন। বিজেপির সভাপতি জেপি নড্ডা বলে ওঠেন, 'এই মন্তব্য ক্ষমা করা যায় না।' এদিকে বিজেপি সাংসদরা সরব হতেই নিজের মন্তব্য তৎক্ষণাৎ ফিরিয়ে নেওয়ার কথাও বলেন খাড়গে। (আরও পড়ুন: ট্রাম্প-ইউনুস সম্পর্ককে 'মিষ্টি' করতে বার্তাবাহক হবেন ইলন মাস্ক?)
আরও পড়ুন: 'আরও লোককে ভারতে স্বাগত, তবে...', অনুপ্রবেশ রুখতে নয়া বিল পেশ সংসদে
এদিকে খাড়গের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হন চেয়ারে থাকা হরিবংশ। এই আবহে খাড়গে বলেন, 'আমি সরি। আমি আপনাকে বলিনি। আমি কথাটা সরকার এবং সরকারি নীতি নিয়ে বলছিলাম। আমার কথায় আপনার মনে দুঃখ হয়ে থাকলে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।' এদিকে এর আগে তামিলনাড়ু নিয়ে ধর্মেন্দ্র প্রধানের মন্তব্যের বিরোধিতায় খাড়গে বলেছিলেন, 'আপনি যদি এই দেশের একটি অংশের জনগণের আত্মসম্মানে আঘাত করে কথা বলেন... আপনি যদি বলেন যে তারা 'অসাংস্কৃতি এবং অসভ্য', তাহলে আপনার মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত। মোদী সরকার দেশ ভাগের কথা বলছে। তারা দেশ ভাঙার কথা বলছে।' (আরও পড়ুন: শুল্ক নিয়ে সত্যি দাবি করেননি ট্রাম্প, সংসদীয় প্যানেলে জানাল মোদী সরকার)
আরও পড়ুন: বৈধ ভোটার কার্ড বানিয়ে অবৈধভাবে ভারতে থাকছিলেন, দিল্লিতে গ্রেফতার ৫ বাংলাদেশি
এদিকে এই একই ইস্যুতে লোকসভা আজ উত্তাল হয় ডিএমকে সাংসদদের প্রতিবাদে। উল্লেখ্য, হিন্দি চাপানোর অভিযোগ তুলে জাতীয় শিক্ষা নীতির বিরোধিতা করে আসছে ডিএমকে। এই নিয়ে তামিলদের ‘অপমান’ করে কথা বলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি সঙ্গে সঙ্গে নিজের কথা অবশ্য 'ফিরিয়ে নিয়েছিলেন'। তবে ধর্মেন্দ্র প্রধানের ক্ষমাপ্রার্থনার দাবিতে সরব হয়েছে ডিএমকে। সেই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে লোকসভা ত্যাগ করেন তৃণমূল সাংসদরাও।
অপরিদকে আজ এপিক নিয়েও সংসদে আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরই রাজ্যসভায় প্রতিবাদ শুরু করেন তৃণমূল এবং বিজেডি সাংসদরা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন আরও বিরোধী সাংসদরা। এরপর অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে বেরিয়ে আসেন তৃণমূলে সাংসদরা। তাঁদের অনুসরণ করে বিজেডিও ওয়াকআউট করে। অধিবেশন কক্ষে থাকা বিরোধী সাংসদরা এই ইস্যতে সুর চড়াতে থাকেন।