অবশেষে চাপের মুখে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারত এবং পাকিস্তানের দুই গুপ্তচর সংস্থাকে হাত মেলানোর ডাক দিলেন প্রাক্তন পাক বিদেশমন্ত্রী তথা পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই সপ্তাহেই ভারত-পাকিস্তান দুই যুযুধান পক্ষের প্রতিনিধি দল পা রেখেছে। একদিকে শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের প্রতিনিধি দল, অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বে তাদের প্রতিনিধি দল।তাদের লক্ষ্য পাকিস্তানের পক্ষে সমর্থন টানা। এই আবহে বিশ্ব মঞ্চে ভারতকে বন্ধুত্বপূর্ণ বার্তা দিল পাকিস্তান, যা অত্যন্ত নজিরবিহীন।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ভারতকে ‘রাতের অন্ধকারে হামলা চালানো কাপুরুষ’ বলেছিলেন পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। এবার সুর পাল্টে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারত ও পাকিস্তানের গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগির আহ্বান জানালেন তিনি। রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে বিলাওয়াল বলেন, 'সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান এখনও ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চাই। আমরা ১.৫ বিলিয়ন মানুষের ভাগ্য সন্ত্রাসবাদীদের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না। তাদের ইচ্ছামত সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে (কখন) এই দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ যুদ্ধ করবে।' এরপরেই তিনি বলেন, 'আমি সম্পূর্ণরূপে আত্মবিশ্বাসী যে যদি আইএসআই এবং র এই শক্তিগুলির (সন্ত্রাসী) বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একসাথে বসে কাজ করতে প্রস্তুত থাকে, তাহলে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশেই সন্ত্রাসবাদ চোখে পড়ার মতো কমে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।’
আরও পড়ুন-'কাশ্মীরের স্বার্থে আমরা...,' পাকিস্তানের ব্যর্থতার কথা প্রায় মেনেই নিলেন বিলাওয়াল!
বিলাওয়ালের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট যে, পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীই পহেলগাঁও হামলার পরিকল্পনা করেছিল। এছাড়াও তাঁর শান্তির বার্তা থেকে বোঝা যায় যে অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তান গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় প্রতিনিধিদল থাকাকালীনই তাই নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা এবং গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগির প্রতাব দিল ইসলামাবাদ।
আরও পড়ুন-'কাশ্মীরের স্বার্থে আমরা...,' পাকিস্তানের ব্যর্থতার কথা প্রায় মেনেই নিলেন বিলাওয়াল!
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। ভারত অপারেশন সিঁদুর অভিযানে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ নিয়েছে। ভারত পাল্টা ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গিকে খতম করে। ভারত বলেছে যে, যে কোন সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের জন্য একই ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে ভারতের কাছে নত স্বীকার করল পাকিস্তান।