আমেদাবাদের সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে পাখির ধাক্কা সন্দেহ করা হচ্ছে। যদিও এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা হয়নি, তবে ঘটনাটি ঘিরে দেশজুড়ে বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় খোলা আবর্জনা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। পাখিদের আকৃষ্ট করে এমন আবর্জনা বিমান নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় বিপদ হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রেক্ষিতে ফের কড়া অবস্থান নিচ্ছে কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন পুরসভাগুলি।
আরও পড়ুন: আমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে ট্রোল রিমকে, ‘বোন বিমান চালক…’, কড়া জবাব নায়িকার
জানা যাচ্ছে, খোলা জায়গায় আবর্জনা স্তূপ না রেখে সেগুলি দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাখিরা যাতে কোনওভাবেই আবর্জনার স্তূপে ভিড় না করে, সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। কলকাতা বিমানবন্দরের আশপাশে রয়েছে পাঁচটি পুরসভা দমদম, নিউ বারাকপুর, বিধাননগর-সহ একাধিক পুরসভা। এইসব এলাকায় উন্মুক্ত আবর্জনার স্তূপ বহুদিন ধরেই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গৃহস্থলির উচ্ছিষ্ট খাবার ফেলে রাখায় সেখানে নিয়মিত পাখিদের ভিড় দেখা যায়, যা বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বারবার সতর্ক করেছে, খোলা জায়গায় যেন কেউ আবর্জনা না ফেলে। এমনকি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আনার জন্য বোর্ড লাগানো হয়েছে এলাকাজুড়ে। তা সত্ত্বেও, কিছু জায়গায় এখনও সমস্যা রয়ে গেছে। দমদম পুরসভার আওতায় থাকা এইচএমবি ভ্যাট রয়েছে বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে। এছাড়া আড়াই কিলোমিটার দূরে সাঁপুইপাড়া, রাজবাড়ি ও সিদ্ধেশ্বরী লেকের পাশে রয়েছে বড় বড় আবর্জনার স্তূপ। নিউ বারাকপুর পুরসভার অধীনে থাকা ডাম্পিং গ্রাউন্ডও বিমানবন্দর থেকে খুব দূরে নয়। বিধাননগর পুর নিগমের কম্প্যাক্টর তো আবার বিমানবন্দরের পাঁচিল থেকে মাত্র ৩০ ফুট দূরত্বে।
বিধাননগর পুর নিগমের তরফে দাবি করা হচ্ছে, কম্প্যাক্টরে আবর্জনা কিছু সময়ের জন্য রাখা হলেও, নির্দিষ্ট সময়ে সেগুলি সরিয়ে নেওয়া হয়। দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান হরিন্দর সিং জানান, এইচএমভি ভ্যাট কভার করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। দ্রুত শেষ করা হবে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুরোধেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, অতীতেও একাধিকবার পাখির ধাক্কায় বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই প্রশাসন ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ একযোগে কাজ করতে আগ্রহী।