রামনবমীর মিছিলে হামলার খবর পাওয়া গেল মহারাষ্ট্রের পালঘরে। অভিযোগ করা হয়েছে, সেখানে কিছু লোক রামভক্তদের ধর্মীয় মিছিলে ডিম ছুড়েছে। এই ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে অজ্ঞাতপরিচয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশের লালমনিরহাটে নাকি বিমানঘাঁটি তৈরি করছে চিন, হুমকির মুখে চিকেনস নেক?)
আরও পড়ুন: ওয়াকফ মামলা নিয়ে মৌখিক আবেদন সুপ্রিম কোর্টে, শুনলেনই না প্রধান বিচারপতি
উল্লেখ্য, রামনবমী উপলক্ষে পালঘরে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, মিছিলটি চিখালডোংরির সর্বেশ্বর মন্দির থেকে শুরু হয়ে পশ্চিম ভিরারের গ্লোবাল সিটির পিম্পলশ্বর মন্দিরের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময়েই এই ডিম ছোড়ার ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, শোভাযাত্রায় ১০০ থেকে ১৫০টি যানবাহন ছিল। এছাড়া একটি রথ ও দুটি টেম্পোও ছিল ব়্যালিতে। এই আবহে ঘটনার খবর পেয়েই কয়েকজন পুলিশকর্মীকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে। একই সঙ্গে জনসাধারণকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। (আরও পড়ুন: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের সমর্থন করায় BJP-র সংখ্যালঘু নেতার বাড়িতে আগুন লাগানো হল)
আরও পড়ুন: গেরুয়া পতাকা হাতে দরগায় উঠল যুবকরা, পুলিশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বার্তা DCP-র
এদিকে বিজেপির অভিযোগ, কলকাতার পার্কসার্কাসে রামনবমীর মিছিলে অংশ নেওয়া গাড়ির ওপরে হামলা চালানো হয়েছিল। এই নিয়ে অবশ্য গুজবে কান দিতে বারণ করে পোস্ট কেরছে কলকাতা পুলিশ। অপরদিকে উত্তরপ্রদেশেও রামনবমীর শোভাযাত্রা নিয়ে ঝামেলা দেখা যায়। লাইভহিন্দুস্তানের রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশের কানপুরে রামনবমীতে শোভাযাত্রা চলাকালীন জুতো ছোড়া হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে। যদিও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জুতো ছুড়ে মারার অভিযোগে দু'জনকে আটকও করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, শোভাযাত্রায় ডিজে আটকানো ঘিরেই পুলিশএর সঙ্গে ঝামেলা বাঁধে আয়োজকদের। এই আবহে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে কানপুরে শোভাযাত্রা 'বয়কট' করেন বহু আয়োজক।
এদিকে কানপুরের ব্রহ্মদেব স্কোয়ারের কাছে একটি ছোট মিছিল আটকে দেয় পুলিশকর্মীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘাত দেখা দেয় মিছিলে থাকা রামভক্তদের। এসময় ভিড়ের মধ্যে উপস্থিত পুলিশকে লক্ষ্য করে কেউ জুতা ছুড়ে মারে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই যুবককে আটক করে। জনতা স্লোগান দিতে দিতে তাদের উদ্ধার করে। এই আবহে একাধিক জায়গায় পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতীকী মিছিল হয়। এদিকে আনন্দপুরীর এক মিছিলে লাউডস্পিকারের সংখ্যা ১০ থেকে কমিয়ে ৪ করে দেয় পুলিশ। এর জেরে সেই শোভাযাত্রা প্রায় দেড় ঘণ্টা বিলম্বিত হয়।
পুলিশ কমিশনার হরিশ চন্দর বলেন, 'ডিজে সাউন্ড নিয়ে আদালতের নির্দেশ অনুসরণ করা হয়েছে। পাথর ছোড়া এবং ভাঙচুরের গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। আয়োজকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ ও ভিডিয়ো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জুতা নিক্ষেপের ঘটনায় সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।'