মেঘালয়ে হানিমুনে হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড। স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনে অভিযুক্ত খোদ নববিবাহিত স্ত্রী সোনম রঘুবংশী। এবার পুলিশি জেরায় বেরিয়ে এল ভয়ঙ্কর তথ্য। রাজা রঘুবংশীকে হত্যা নয়, আসলে সোনম রঘুবংশীকে তাঁর কাছ থেকে সরানোই ছিল 'খুনিদের' উদ্দেশ্য। সেই অনুযায়ী ৩টি পরিকল্পনাও করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়িত করা যায়নি। এরপরই রাজাকে খুনের ছক কষা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন-ফাঁড়া কাটছে না এয়ার ইন্ডিয়ার, বিমানে বোমাতঙ্ক, ১৫৬ যাত্রী নিয়ে জরুরি অবতরণ করল
মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পাহাড়ের এসপি সিয়েম বিবেক বলেন, ‘রাজা এবং সোনমের বিয়ের ঠিক আগে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিল রাজ কুশওয়াহা। তাঁকে সোনম সাহায্য করেছিল। বাকি তিন আততায়ী রাজেরই বন্ধু, একজন তাঁর তুতো ভাই।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, রাজাকে খুনের পর বোরখা পরে শিলং থেকে গুয়াহাটি গিয়েছিল সোনম। সেখান থেকে শিলিগুড়ি, পাটনা হয়ে ইন্দোরে পৌঁছয় সোমন। পরদিনই চলে যায় উত্তরপ্রদেশে। সেখানেই আত্মসমর্পণ করে সোনম।এসপি সিয়েম বিবেক বলেন, ‘সোনমকে রাজার থেকে সরাতে দু’টি ছক কষা হয়েছিল। প্রথম, সোনম নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে, এমনটা দেখানো হবে এবং পরে তাঁকে উদ্ধার করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। দ্বিতীয়ত, অন্য একজন খুন করে তাঁর দেহ পুড়িয়ে সোনমের বলে চালিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এই দু’টি পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। তারপর রাজাকে খুনের পরিকল্পনা করেন সোনমরা।
আরও পড়ুন-ফাঁড়া কাটছে না এয়ার ইন্ডিয়ার, বিমানে বোমাতঙ্ক, ১৫৬ যাত্রী নিয়ে জরুরি অবতরণ করল ’
জেরায় সোনম-সহ ধৃত পাঁচ জনই খুনের কথা এবং চক্রান্তের কথা স্বীকার করে নিয়েছে বলে দাবি করেছে মেঘালয় পুলিশ। মেঘালয় পুলিশের সিট মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর এবং উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই তথ্যপ্রমাণ জুড়ে বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে যে, মেঘালয়ে ঠিক কী ঘটেছিল। সূত্রের খবর, সোনম তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেছে, মেঘালয়ে বেড়ানোর সময়ে কয়েক জন তাঁর গয়না ছিনতাই করতে গিয়েছিল। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন রাজা।সোনমের আরও দাবি, ওই ঘটনার সময়েই জ্ঞান হারিয়েছিলেন তিনি। কীভাবে গাজিপুরে তিনি পৌঁছোন, তা মনে করতে পারেননি। যদিও ধীরে ধীরে নিজেদের সব দোষ ধৃতরা কবুল করেছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।