২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করানো হয়েছিল। কিন্তু সেবার লোকসভায় ওই বিল কার্যকর করা হয়নি। এবার কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের খবর, ২০২৯ সালের নির্বাচন থেকে মহিলাদের জন্য লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভায় এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।হিসাব মতো সে বছরের লোকসভা ভোট এবং ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, হরিয়ানা,ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচনে প্রথম কার্যকর হবে মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণ। (আরও পড়ুন: ইউনুসের প্রেস সচিব ভুলে গেছিলেন ওটা লন্ডন, ঢাকা না! ডাহা মিথ্যা বলে পড়লেন ধরা)
আরও পড়ুন: ডিএ মামলায় নয়া মোড়, ২৫% বকেয়া মেটাবে না সরকার? নয়া পদক্ষেপ রাজ্যের
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সংসদে পাশ হয় মহিলা সুরক্ষা অধিনিয়ম।তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেশের প্রথম সারির সব দল বিলটিকে সমর্থন করে। সংসদের দুই কক্ষেই বিলটি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। শেষে একপ্রকার সর্বসম্মতিতে বিলটি পাশ হয়। কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে সমর্থনের কথা আগেই ঘোষণা করেছিল বিরোধী শিবির।এই বিল অনুযায়ী, দেশের আইনসভাগুলিতে এবার থেকে ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে মহিলাদের জন্য। যার অর্থ প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন জনপ্রতিনিধি হবেন মহিলা।বিল পাশের সময় বলা হয়েছিল, সংসদের বর্তমান আসন সংখ্যা চালু থাকা পর্যন্ত এই সংরক্ষণ চালু হবে না। সংসদ এবং বিধানসভা এলাকার ডিলিমিটেশন বা সীমানা পুননির্ধারণের মাধ্যমে আসন সংখ্যা বৃদ্ধির পর সংরক্ষণ বলবৎ হবে। তার আগে হবে জনগণনা। (আরও পড়ুন: রাজকে ঘুঁটি বানিয়ে তৃতীয় কারও সঙ্গে পালানোর ছক ছিল সোনমের? আরও ঘনীভূত রহস্য)
আরও পড়ুন-৫ মিলিয়ন ডলারে মার্কিন নাগরিকত্ব বিক্রি! ওয়েবসাইট চালু করলেন ট্রাম্প
সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদী সরকার জনগণনা করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। হিসাব মতো তা ২০২১-এ হওয়ার কথা ছিল। করোনার কারণে তখন উদ্যোগ নিয়েও তা স্থগিত রাখা হয়। এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে ২০২৬ সালের মে মাসে জনগণনা শুরু হবে। ওই জনগণনার প্রক্রিয়া শেষ হলে লোকসভা এবং বিধানসভা গুলির আসন পুনর্বিন্যাস হবে। তারা আসন পিছু গড় ভোটার সংখ্যা চূড়ান্ত করার পর সংসদীয় ও বিধানসভা এলাকা সীমানা নির্ধারণ করবে। (আরও পড়ুন: ইউনুস যেন 'অচ্ছুৎ', 'চরম অপমান' হজম বাংলাদেশি প্রধান উপদেষ্টার)
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে 'অভূতপূর্ব অংশীদার' পাকিস্তান, দাবি US জেনারেলের
আরও পড়ুন: সেনা দিবসে আসিম মুনিরকে আমন্ত্রণ আমেরিকার, সফরের বিরোধিতা পাকিস্তানেই
তবে কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে কাজটা সহজ নাও হতে পারে। কারণ তামিলনাড়ু-সহ দক্ষিণের রাজ্যগুলি এখনই ডিলিমিটেশন চাইছে না। তাদের বক্তব্য, জন্ম নিয়ন্ত্রণে সাফল্যের কারণে ওই রাজ্যগুলির জনসংখ্যা কম। ফলে লোকসভা ও বিধানসভার আসন সংখ্যা কমে যাবে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন জানিয়েছেন, সব রাজ্যে বিশেষ করে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে নতুন জন্মহার জাতীয় গড়ের নীচে না নামা পর্যন্ত ডিলিমিটেশন না করাই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। ২০৫০ সাল পর্যন্ত তা পিছিয়ে দিতে একাধিক দল ও রাজ্যকে পাশে নিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই সংরক্ষণ চালু করার ক্ষেত্রে ডিলিমিটেশনকে প্রাক শর্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেরই আপত্তি আছে।অর্থাৎ ২০২৩ সালে সংসদে পাশ হওয়া বিল বাস্তবের মাটিতে কার্যকর হতে চলেছে ৬ বছর পরে। সেটাও এখনও নিশ্চিত করে বলছে না সরকার।