ভারতের পাসপোর্ট জমা দিতে আবেদন করেছেন ললিত মোদী। ভানুয়াতুর নাগরিক হয়েছেন তিনি। আইপিএলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ললিত মোদী। ভানুয়াতুতে ডেরা নিয়েছেন তিনি। সেখানকার নাগরিকত্বও পেয়ে গিয়েছেন বলে খবর মিলেছে।
এদিকে ভানুয়াতুকে ঘিরে আগ্রহও বাড়ছে অনেকের। প্রশান্ত মহাসাগরের এই দ্বীপপুঞ্জটা কোথায়, সেখানে কী ধরনের সুবিধা রয়েছে তা নিয়ে খোঁজখবরও করছেন অনেকে। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় বিপুল অর্থ থাকলে সেই দেশের নাগরিক হওয়া যায়। বিরাট সম্পদশালীদের কাছে এই ভানুয়াতু বেশ প্রিয়। বিরাট সম্পদশালীদের সেই দেশের নাগরিক করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা দেয় না সেই দেশের সরকার।
এই দেশের কর সংক্রান্ত বিরাট সুবিধা। এখানে কর্পোরেট ট্যাক্স নেই বলে খবর। ভানুয়াতুতে যদি কারোর ব্যবসা নথিভুক্ত থাকে তবে তিনি যদি দেশে, বিদেশে ব্যবসা করেন তবে তাঁকে কোনও কর্পোরেট ট্যাক্স দিতে হয় না। আয়করও জমা দিতে হয় না সেই দেশের নাগরিকদের। দেদারে আয় করুন কিন্তু লাগবে না আয়কর।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে বিমানে ঘণ্টা চারেকের মধ্যে যাওয়া যায় এই দ্বীপে। বেশ সুখী দ্বীপ। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র। ২০২৩ সালের হিসাব বলছে, এখানকার জনসংখ্যা ৩৩৫,৯০৮। নয়ডার অর্ধেক জনসংখ্য়া ভানুয়াতুতে। ভানুয়াতুর রাজস্বের ৩০ শতাংশ আসে নাগরিকত্ব বিক্রির মাধ্যমে। চাষ আবাদ অর্থনীতির একটা বড় অংশ। প্রচুর নারকেল চাষ হয়।