আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে কয়েকদিন আগেই এক বিমান ও এক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই দুর্ঘটনায় দুই বায়ুযানে থাকা কেউই প্রাণে বাঁচেননি। আর এবার সেই একই ধরনের ঘটনা ঘটল আমেরিকার অ্যারিজোনায়। আবারও মার্কিন মুলুকে মাঝআকাশে দুই বিমানের সংঘর্ষ হল। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার সকালে। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে আমেরিকার ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড। দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে বিমানের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে বোর্ডের সদস্যরা। কীভাবে মাঝআকাশে দু'টি বিমানের সংঘর্ষ ঘটল, তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে। শেষ মুহূর্তে দুই বিমানচালক ককপিটে কী করছিলেন, তা জানতে ব্ল্যাকবক্সের তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। সঙ্গে ককপিট ভয়েস রেকর্ডার চালিয়ে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে। এভাবে মাঝ আকাশে বিমান সংঘর্ষ সচরাচর ঘটে না। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের নির্দেশে বিমান নিজেদের উচ্চতা নির্ধারণ করে থাকে। তবে আমেরিকায় এই নিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই দু'টি এমন দুর্ঘটনা ঘটল। অবশ্য অ্যারিজোনার দুর্ঘটনায় দু'টি বিমানই ছোট ছিল। এটিসি সেগুলিকে সেভাবে প্রতিপদে নিয়ন্ত্রণ নাও করতে পারে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে অ্যারিজোনার টাস্কন শহরের কিছুটা দূরে। দুর্ঘটনার পরে মারানা পুলিশ দফতর অন্তত একজন বিমানযাত্রীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। পরে জানা যায়, দুর্ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, বিগত এক মাসের মধ্যেই উত্তর আমেরিকায় ৪টি বড় বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে সাম্প্রতিকতম হল টরন্টোয় অবতরণের সময় বিমা উলটে যাওয়ার ঘটনাটি। অবতরণের সময় ডেল্টা এয়ারের বিমান উলটে গিয়েছিল রানওয়েতে। বিমানে আগুনও লেগে গিয়েছিল। তবে বিস্ফোরণ ঘটেই আগুন প্রায় সঙ্গে সঙ্গে নিভে গিয়েছিল। এর জেরে গোটা বিমানে আগুন ছড়িয়ে পড়েনি। রানওয়েতে উলটো হয়ে পড়ে থাকা সেই বিমান থেকে সকল যাত্রীকেই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনায় ১৯ জন যাত্রী আহত হয়েছিলেন। এছাড়াও আমেরিকার আলাস্কায় প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল সম্প্রতি।
এদিকে জানুয়ারির শেষ লগ্নে একটি মার্কিন যাত্রীবাহী বিমানের সঙ্গে মাঝআকাশে সংঘর্ষ হয়েছিল আমেরিকার সামরিক হেলিকপ্টারের। সেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ওয়াশিংটন ডিসি-তে। তাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৬৭ জন। মার্কিন ইতিহাসে ২০০১ সাল থেকে অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ছিল সেটি। এছাড়াও ৩১ জানুয়ারি আরও একটি দুর্ঘটনার সাক্ষী ছিল আমেরিকা। এক শিশু রোগী বহনকারী মেডিক্যাল বিমান ফিলাডেলফিয়ায় ভেঙে পড়েছিল বেশ কিছু বাড়িঘরের ওপরে। এর জেরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছিল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বেশ কিছু বাড়িঘর। এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৭ জনের প্রাণ গিয়েছিল। তাছাড়া আরও ১৯ জন আহত হয়েছিলেন।