আগাম তৈরি থাকুন! যুদ্ধ লাগলে কী করতে হবে? মক ড্রিলের দিন ঘোষণা করল কেন্দ্র

পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরে এবার বড় পদক্ষেপ নিল ভারত। ইতিমধ্য়েই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। এবার দেশের সমস্ত রাজ্যকে মক ড্রিল করার জন্য় নির্দেশিকা জারি করল ভারত সরকার। কার্যত কোনও হামলা হলে তার জন্য কী করতে সেটাই জানা যাবে এই মক ড্রিলে। সেটাই শিখে নিতে হবে সাধারণ মানুষকে। তার জন্যই আগাম অনুশীলন। সেদিন এলাকা অন্ধকার করেও এই মকড্রিল হতে পারে।সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বেশ কয়েকটি রাজ্যকে ৭ মে মক ড্রিল করার নির্দেশ দিয়েছে।মহড়ায় যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তার মধ্যে রয়েছে বিমান হামলা চালানোর সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো এবং 'শত্রু আক্রমণের' ক্ষেত্রে নিজেদের রক্ষার জন্য অসামরিক প্রতিরক্ষা বিষয়ে অসামরিক নাগরিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া।অন্যান্য পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে ক্র্যাশ ব্ল্যাকআউট ব্যবস্থা, গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যান্ট এবং স্থাপনাগুলির আগাম ছদ্মবেশ ধারণ এবং দ্রুত এলাকা খালি করার পরিকল্পনা আপডেট করা এবং তাদের মহড়া দেওয়া।সাধারণ মানুষ, ছাত্র যুবদের এনিয়ে তৈরি থাকার জন্যও মক ড্রিল করার কথা বলা হয়েছে।কী কী হবে এই মক ড্রিলে?১) এয়ার রেড সাইরেনকে কার্যকরী করতে হবে।২) যেকোনও সময় ব্ল্যাক আউট করে এই মকড্রিল করা হতে পারে।৩) বিশেষ বিশেষ কারখানাকে, সংস্থাকে ক্যামোফ্লেজের আওতায় রাখার কথা বলা হয়েছে।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিভিন্ন রাজ্যকে এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। ৭ মে এই মকড্রিল করার কথা বলা হয়েছে। মূলত আচমকা হামলা হলে আত্মরক্ষার জন্য কী করা দরকার তারই অনুশীলন হবে।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্য়েই শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে একাধিক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করছেন। গত ২২ শে এপ্রিলের কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। এরপর থেকে ভারত কড়া অবস্থান নিয়েছে।এনিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।প্রসঙ্গত পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে এই মকড্রিল করা হয়েছে। সেদিন শহর অন্ধকার করে মকড্রিল করা হয়। বাসিন্দাদের আগাম জানিয়ে এই মকড্রিলের আয়োজন করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিংকেকীভাবে ফিরোজপুরে মকড্রিল করা হয়েছিল?রবিবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্য়ে প্রায় আধ ঘণ্টার জন্য় এই মক ড্রিল করা হয়। পাঞ্জাবের ফিরোজপুর ক্যান্টনমেন্টে এই মকড্রিল হয়েছে। সেই সময়ের জন্য় আধ ঘণ্টার জন্য় ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। যতক্ষণ এই ড্রিল চলে ততক্ষণ হুটার বাজছিল।এই সময়ের মধ্য়ে কোথাও ইনভার্টার বা জেনারেটর চালানো হয়নি। পুরো অন্ধকারে ডুবে ছিল এলাকা। আগাম অনুরোধ করেই এটা করা হয়। রাস্তায় গাড়ির আলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়।রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে ছিল পুলিশের পাহারা। এলাকায় নজরদারি করা হবে। যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে কী করতে হবে তারই অনুশীলন করতে হবে সাধারণ মানুষ। সেই পরামর্শই দেওয়া হয়েছে।