ইন্দোরের রাজা রঘুবংশী খুনের ঘটনায় পরতে পরতে রহস্য। ইতিমধ্যেই পুলিশ উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করেছে তার নতুন বউ সোনমকে। মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়েছিল তারা। সেখানেই মেলে রাজার দেহ। আর উত্তরপ্রদেশে গ্রেফতার সোনম। একটি ধাবা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এবার প্রশ্ন অত রাতে ধাবাতে এল কীভাবে সোনম?
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ১টা নাগাদ বারাণসী-গাজিপুরের রাস্তায় উত্তরপ্রদেশে একটি ধাবাতে গিয়ে সহায়তা চান সোনম। কাশী ধাবাতে গিয়ে ধাবা মালিক সাহিল যাদবের কাছে সহায়তা চান সোনম।
সেই রাতে কী বলেছিলেন সোনম?
ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে সাহিল যাদব জানিয়েছেন, রাত ১টা নাগাদ সোনম রঘুবংশী রাস্তা ধারে ধাবাতে আসেন। তিনি মোবাইল ফোন চাইছিলেন। আমি তখন তাকে জিজ্ঞাসা করি কী হয়েছে? সোনম বলছিল ফোন হারিয়ে গিয়েছে। খুব দরকার। এরপর একটা নম্বর আমাকে দেয়। এরপর আমি ফোন দিয়েছিলাম। সেই অনুসারে তিনি পরিবারকে ফোন করেন।
ধাবা মালিক জানিয়েছেন, খুব কাঁদছিলেন ওই মহিলা। জল চাইছিলেন। আমি জল দিই। তিনি ঠিক করে কথা বলতে পারছিলেন না। সেকারণে আমি তার পরিবারের সঙ্গেও কথা বলি। তারা বলেন, কাছাকাছি থানার সঙ্গে কথা বলে তার নিরাপত্তার বিষয়টি যেন নিশ্চিত করা হয়।
এরপর প্রশ্ন করলে তিনি বলেন মে মাসে তাদের বিয়ে হয়েছিল। তিনি স্বামীর সঙ্গে মেঘালয়ে গিয়েছিলেন। হানিমুনে গিয়েছিলেন। কিন্তু একদল লোক তাদের গয়না চুরি করার চেষ্টা করছিল। রাজা তাতে বাধা দেয়। তখনই স্বামীকে ওই লোকগুলো খুন করে।
স্থানীয় পুলিশ আসে। সোনম গাজিপুরে আত্মসমর্পণ করে।মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে, চাপে পড়ে সোনম আত্মসমর্পণ করেছে। তাকে মেঘালয়ে আনা হবে। পরবর্তী তদন্তের জন্য। ইতিমধ্যেই সোনমের পুরুষ বন্ধু রাজ সিং খুশাওয়া, বিশাল সিং চৌহান, আকাশ রাজপুত, আনন্দকে গ্রেফতার করেছে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে রাজের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল সোনমের। বিয়ের পরেও তার মন পড়েছিল রাজের দিকে। সেকারণেই হানিমুনে গিয়ে স্বামীকে খুন করার ছক কষেছিল সে। মেঘালয়ের একটি খাদে পাওয়া গিয়েছিল রাজার দেহ।
সোনম গ্রেফতার হওয়ার পরেই মুখ খুলেছেন রাজা রঘুবংশীর মা। এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, রাজা রঘুবংশীর মা উমা রাজবংশী জানিয়েছেন, সোনম ট্রিপের জন্য় টিকিট বুক করেছিল। সে মনে হয় শিলং সফরটা আরও কয়েকদিন বৃদ্ধি করতে চেয়েছিল। কারণ আমার ছেলে ওই এলাকাটি চিনত না। রাজার মা জানিয়েছেন, তারা গত বছরেও শিলংয়ে গিয়েছিলেন।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সমস্ত সোনার অলঙ্কার পরে ওই দম্পতি মেঘালয়ে গিয়েছিল। সোনম তার বাবা মায়ের বাড়ি থেকে সরাসরি এয়ারপোর্টে চলে যান। রাজা প্রায় ১০ লাখ টাকার সোনার অলঙ্কার পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তার মধ্যে ডায়মন্ডের আংটি, গলার হার, ব্রেসলেট ছিল।