ইজরায়েল ইরানে সামরিক আক্রমণ চালাতেই বিরাট ধস নামল গোটা এশিয়ার শেয়ার বাজারে। পতন ভারতের সূচকেও। বাজার খুলতেই সেনসেক্স এক ধাক্কায় প্রায় ৯০০ পয়েন্ট পড়ে গেল। নামল ৮০ হাজারের ঘরে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, সংঘর্ষ যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় আরও পতনের আশঙ্কা বাড়বে। বিশেষ করে ইরান যেহেতু বিশ্বের অ্যতম তেল উৎপাদক এবং রফতানিকারী দেশ। যদিও বেলা বাড়তে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বিএসই।
ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের আবহেই শেয়ার বাজারে বিরাট ক্ষতির মুখে বিনিয়োগকারীরা। ব্যাঙ্কিং থেকে শুরু করে তথ্যপ্রযুক্তি, অটোমোবাইলের মতো একাধিক সেক্টরের শেয়ারের দাম পড়েছে। সবচেয়ে বেশি লোকসান হয়েছে আদানি পোর্টসের। তবে একঘণ্টার মধ্যে বেশ খানিকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাজার।
দিনের শেষে সেনসেক্সের পয়েন্ট কমেছে ৫৭৩ পয়েন্ট। এর জেরে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক দাঁড়িয়েছে ৮১ হাজার ১১৮ পয়েন্টে। এদিকে, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচকে পতন হয়েছে ১৬৯ পয়েন্ট। ফলে নিফটি৫০ রয়েছে ২৪ হাজার ৭১৮ পয়েন্টে। এদিন প্রতিটি সেক্টরের সূচক নিম্নগামী হয়েছিল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নিফটি ব্য়াঙ্ক, নিফটি অটো, নিফটি আইটি, নিফটি পিএসইউ ব্যাঙ্ক, নিফটি ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস, নিফটি ফার্মা, নিফটি এফএমসিজি, নিফটি মেটাল, নিফটি রিয়েলটি, নিফটি মিডিয়া এবং নিফটি অয়েল অ্যান্ড গ্যাসের সূচকে।
আরও পড়ুন-এয়ার ইন্ডিয়া বিপর্যয়ের সব বোয়িং ড্রিমলাইনার বসানোর পরিকল্পনা ভারতের- রিপোর্ট
শুক্রবার সবচেয়ে বেশি মুনাফা হয়েছে জুবিল্যান্ট ইনগ্রেভিয়া, শিপিং কর্পোরেশন, জিই শিপিং, জেন টেক, গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারস, ডিবি রিয়েলটি, বিইএমএল, কোচিন শিপইয়ার্ডর শেয়ারে।এদিন সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে টাটা টেলিসার্ভিসেস (মহারাষ্ট্র), কানাড়া ব্য়াঙ্ক, ক্রিসিল, ইন্টারগ্লোব অ্যাভিয়েশন, মহানগর গ্যাস, রিলায়েন্স পাওয়ার এবং পিভিআর -এর শেয়ারে।
আরও পড়ুন-এয়ার ইন্ডিয়া বিপর্যয়ের সব বোয়িং ড্রিমলাইনার বসানোর পরিকল্পনা ভারতের- রিপোর্ট
গত কয়েকদিন ধরেই ধীরে-ধীরে নীচের দিকে নামছিল ভারতের শেয়ার সূচক। আর তার অন্যতম প্রধান কারণ অপরিশোধিত পেট্রোলিয়ামের দাম বৃদ্ধি। আর ইরানে ইজরায়েলের আক্রমণের পর অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। আর সেই প্রভাব গিয়ে পড়েছে ভারতের শেয়ার বাজারে।ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে বিশ্বে বাজারেও বড় পতন এসেছে। জাপানের সূচক নিক্কেই ১.১৬ শতাংশ পতনে রয়েছে, টপিক্স সূচকও ১ শতাংশ পতনে রয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার কসপি সূচকে এসেছে ০.৬৭ শতাংশ ধস। অন্যদিকে, ন্যাসড্যাক কম্পোজিট ফিউচারের সূচক ৩৭৪ পয়েন্ট বা ১.৭ শতাংশ পড়ে গিয়েছে, এস অ্যান্ড পি ৫০০ ফিউচারসে ১.৬ শতাংশ পতন এসেছে।