শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি খোয়াই হাটের পাশে পর্যটন দফতরের জমি দখল করে বিক্রির চেষ্টা। তবে সেই প্রচেষ্টা বানচাল করল বোলপুর পুরসভা। অভিযোগ উঠেছে, কয়েকদিন ধরে ওই সরকারি জমিতে প্লট তৈরি করে বিক্রি করার পরিকল্পনা করছিল একদল জমি মাফিয়া। এরজন্য তারা দিনদুপুরে সেখানে কংক্রিটের রাস্তা তৈরির কাজ শুরুও করে দিয়েছিল। খবর পেয়ে তৎপরতার সঙ্গে ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। (আরও পড়ুন: ঠিক কী হয়েছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের? এখন কেমন আছেন বিজেপির সাংসদ?)
আরও পড়ুন: ‘বাংলার ভূমি’ পোর্টাল দিয়েই ঘুঘুরবাসা ভাঙতে চাইছে রাজ্য, বেআইনি রুখতে দাওয়াই
জানা গিয়েছে, শনিবার পুরসভা খবর পেয়ে ওই জমিতে বেআইনি রাস্তা নির্মাণ বন্ধ করে দেয়। পরে সেই জমিতে সরকারি বোর্ড লাগিয়ে দেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। সাধারণ মানুষ যাতে বিভ্রান্ত হয়ে জমি না কেনেন, সে কারণেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে পুরসভা। পুরসভার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উল্লেখ্য, সোনাঝুরি খোয়াই হাট জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর থেকেই আশপাশের জমির দাম কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণেই মাফিয়াদের নজর পড়েছে সরকারি জমির দিকেও। (আরও পড়ুন: রাজ্য বকেয়া ডিএ না দিলে 'সুখবর' পেতে পারেন সরকারি কর্মীরা, সামনে বড় দাবি)
আরও পড়ুন: প্রবল সংকট উত্তরপূর্বে, চিন ঘেঁষা জেলা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল বাকি দেশ থেকে!
পুরসভা জানা যাচ্ছে, হাটে যাওয়ার পথে শালবনের একটু আগেই অবস্থিত পর্যটন ও সেচ দফতরের মালিকানাধীন জমি। গোয়ালপাড়া মৌজায় সেই জমি দখল করে ‘প্লট সিস্টেম’-এ বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছিল একদল দুষ্কৃতী। কিন্তু রাস্তাঘাট না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই ওই জমিতেই কংক্রিটের রাস্তা বানানোর চেষ্টা শুরু হয়। (আরও পড়ুন: ২ মাসে পঞ্চম দুর্ঘটনা, কী কারণে উত্তরাখণ্ডে ভেঙে পড়ল হেলিকপ্টার?)
আরও পড়ুন: এবার টানা বৃষ্টি, কমবে অস্বস্তিকর গরম, ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি জেলায় জেলায়
বিষয়টি নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন ও পুরসভা। প্রশাসনের নির্দেশে অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হয় বেআইনি রাস্তা নির্মাণের কাজ। এরপর শনিবার পুরসভা উদ্যোগ নিয়ে ওই জমিতে সরকারি মালিকানার বোর্ড লাগিয়ে দেয়। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সময়ে সরকারি জমি বেআইনিভাবে জবরদখল নিয়ে কড়া মনোভাব দেখিয়েছেন।
পুরসভার একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জানান, অসৎ উদ্দেশ্যে সরকারি জমি দখল করে রাস্তা বানানো হচ্ছিল। প্রশাসনের নির্দেশে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের ইতিমধ্যে তদন্ত করেছে। নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে সেটি সরকারি জমি। সেই অনুযায়ী আজ বোর্ড লাগানো হয়েছে, যাতে মানুষ বিভ্রান্ত না হন। সরকারি জমি রক্ষায় পুরসভার এই পদক্ষেপ প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।