সংবাদ সংস্থা এএনআইর খবর বলছে, দিল্লির সাউথ ব্লকে এদিন বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে দেখা যায়।
বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠাল দিল্লি।
আচমকা রবিবার ঢাকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় বর্মাকে তলব করে ইউনুস সরকারের বিদেশমন্ত্রক। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে। প্রসঙ্গত, ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে কমপক্ষে পাঁচটি জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া লাগানো নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। সীমান্তে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলেই বিজিবি তাতে বাধা দিচ্ছে বলে খবর। সদ্য, মালদহের বৈষ্ণবনগরে এই বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে সীমান্তে বেশ উত্তেজনা রয়েছে বলে খবর। তারই মাঝে দিল্লি ডেকে পাঠাল বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে।
এর আগে, জানা গিয়েছে, ঢাকার তরফে সেদেশে অবস্থিত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভর্মাকে ডেকে, সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বেগ প্রকাশ করে। এদিকে, সংবাদ সংস্থা এএনআইর খবর বলছে, দিল্লির সাউথ ব্লকে এদিন বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে দেখা যায়। উল্লেখ্য, বিদেশমন্ত্রকের তরফে সোমবার তলব করা হয় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উপদেষ্টা এর আগে, জানিয়েছেন, তিন বিঘা করিডর, লালমনির হাট, চাপাইনাওয়াবগঞ্জ সহ ৫টি জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। তাঁর দাবি, বাংলাদেশের প্রাক্তন সরকার শেখ হাসিনার আমলে সমঝোতায় ভারসাম্যহীনতার কারণে ‘ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে বেশ কিছু ইস্যু উঠে আসছে।’ এদিকে, রবিবার বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের তলবের পর ঢাকায় সাক্ষাৎ শেষে প্রণয় বর্মা বলেছিলেন, নয়া দিল্লি ও ঢাকা 'নিরাপত্তার কারণে সীমান্তে বেড়ার বিষয়ে একটি বোঝাপড়ার মধ্যে রয়েছে।' তিনি জানান, বিজিবি ও বিএসএফ কথা বলছে। উল্লেখ্য, কার্যত বাংলাদেশের দাবি, এই ৫ জায়গায় বেড়া দেওয়া নিয়ে নিয়ম ভাঙা হচ্ছে।
এদিকে, ভারতের কাছ থেকে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ, শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। শেখ হাসিনা সহ বেশ কয়েকজনের বিষয়ে বাংলাদেশে রয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। যদিও বাংলাদেশ জানিয়েছে, ভারত ওই চিঠি পেলেও, তার উত্তর দেয়নি। এদিকে, তারই মধ্যে কাঁটাতার ইস্যু ক্রমেই দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে নতুন কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। প্রণয় ভর্মা রবিবার বলেছিলেন,' সীমান্ত দিয়ে পাচার এবং অপরাধীদের আনাগোনা কীভাবে বন্ধ করা যায় তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বিএসএফ এবং বিজিবি-র মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে।' এই পরিস্থিতিতে নুরুল ইসলামকে তলব বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।