৩০ বছর পুরনো সেতু ভেঙে পড়ে বড় বিপর্যয়। রবিবার মহারাষ্ট্রের পুণে জেলার তালেগাঁও সংলগ্ন কুন্দমালায় ইন্দ্রায়নী নদীর উপর সেতুতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক ছিলেন ভেঙে পড়ার সময়। তাঁদের বেশিরভাগই নদীতে পড়ে যান। এই ঘটনায় অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আর সেই ঘটনার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন একটি পাইপ ধরে কোনওভাবে রক্ষা পাওয়া জীবিতরা।
স্বপ্নিল কোল্লাম নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, 'রবিবার সেতুতে ১৫০-২০০ জনেরও বেশি মানুষ ছিলেন। কিন্তু যেখানে সেতুটি ভেঙে পড়েছে, সেখানে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঈশ্বরের কৃপায় আমার পরিবার নিরাপদে আছে।' নদীর ধারে কাঁপতে-কাঁপতে দাঁড়িয়ে থাকা অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী নিখিল কোল্লাম বলেন, 'ভগবান রামের কৃপায় আমরা নিরাপদ আছি। আজ আমার এবং আমার পরিবারের পুনর্জন্ম হল।' অন্যদিকে জেলাশাসক জিতেন্দ্র দুদি বলেন, ' সেতু ভেঙে মোট ৫১ জন আহত হয়েছেন এবং তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত তিনজনের নাম চন্দ্রকান্ত সালভে, রোহিত মানে এবং বিহান মানে। একজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।'
আরও পড়ুন-বাধ্য হয়ে সন্তানকে রেখে এসেছিলেন! অভিশপ্ত বিমানেই শেষ অবধিবেনের স্বপ্ন
রবিবার পুণে জেলার তলেগাঁও ইন্দোরির ইন্দ্রায়নী নদীর উপর একটি পুরনো ভারী বৃষ্টির মাঝে ধসে পড়ে। এতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্তত ৫১ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সেতুটি নদীতে পড়ে গেলে জলের প্রবল স্রোতে প্রায় ১৫-২০ জন ভেসে যান। ছুটির দিনে তলেগাঁওয়ের কুন্দমালা পর্যটন কেন্দ্রের কাছে ইন্দ্রায়ণী নদীর রূপ দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু পর্যটক।দীর্ঘ প্রায় ১৫ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযান শেষে সোমবার সকালে অভিযান শেষ হয়। সেতুটি প্রায় ৪৭০ ফুট দীর্ঘ। এর প্রথম অংশটি পাথরের ঢাল, যার দৈর্ঘ্য ৭০-৮০ ফুট। এরপর রয়েছে দুটি ১০০ ফুট লম্বা লোহার খণ্ড এবং একটি ২০০ ফুট লম্বা সিমেন্টের সেকশন। সেতুটির চওড়ায় মাত্র ৪ ফুট, যার ফলে একসঙ্গে একটি বাইক এবং দু’জন মানুষ পারাপার করতে পারেন। তবে ঘটনার সময় সেতুর উপর একসঙ্গে সাত থেকে আটটি বাইক এবং বহু মানুষ ছিলেন একশোরও বেশি মানুষ সেই বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই ব্রিজে উঠে পড়েছিলেন।
আরও পড়ুন-বাধ্য হয়ে সন্তানকে রেখে এসেছিলেন! অভিশপ্ত বিমানেই শেষ অবধিবেনের স্বপ্ন
অন্যদিকে, সেতু বিপর্যয়ে প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, পুনেতে ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর সেতু ভেঙে বহু মানুষের ডুবে যাওয়ার ঘটনা মর্মান্তিক। পবন খেরা বলেছেন, পুনেতে সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনাটি মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি।