ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অতি রক্ষণশীল প্রার্থী সাঈদ জালিলিকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছিলেন সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান। এরপর মাসুদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গডকরি। আর সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত গণ্যমান্য অতিথিদের একসঙ্গে ছবিও তোলা হয়েছিল। সেই ছবিতে একইসঙ্গে দেখা যায় গডকরি এবং ইসমাইল হানিয়াকে। যদিও দু'জনে অনেক দূরে দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ছবিতে ইসমাইল হানিয়া ছিলেন প্রথম সারিতে। আর গডকরি ছিলেন শেষের সারিতে। (আরও পড়ুন: জয় শাহদের কড়া পদক্ষেপ, BCCI-কে ১৫৯ কোটির বকেয়া মেটাতে বোঝাপড়ায় বাইজুস)

প্রসঙ্গত, আজ সকালেই হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী বিবৃতি জারি করে জানায়, তাদের সংগঠনের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে ইরানে হত্যা করা হয়েছে। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডও ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে শোকবার্তা প্রকাশ করেছিল। জানানো হয়, বুধবার ভোরে তেহরানে অবস্থিত ইসমাইল হানিয়ার অফিসে হামলা চালানো হয়েছিল। সেই হামলাতেই ইসমাইল হানিয়া এবং তাঁর এক দেহরক্ষী প্রাণ হারান। বিগত কয়েক মাস ধরে এই হামাসের সঙ্গেই যুদ্ধে লিপ্ত ইজরায়েল। এই আবহে এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ইজরায়েলের হাত আছে বলেই অভিযোগ করছে ইরান। এদিকে ইজরায়েল এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে নীরব রয়েছে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিংসার ঘটনায় আরও কড়া হাসিনা, নিষিদ্ধ জামাত ও ইসলামি ছাত্র শিবির)
আরও পড়ুন: অলিম্পিকের পদকজয়ীদের থেকে কম নয়... কেরলের ভূমিধসে উদ্ধারকারীদের ভিডিয়ো ভাইরাল
উল্লেখ্য, গতবছর অক্টোবর থেকেই ইজরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা ভূখণ্ডে হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত আছে। এরই মাঝে ৩৯ হাজারেরও বেশি সাধারণ মানুষের প্রাণ গিয়েছে গাজায়। প্রসঙ্গত, গতবছর ৭ অক্টোবর সকাল সকাল কয়েক হাজার রকেট গাজা ভূখণ্ড থেকে উড়ে এসেছিল দক্ষিণ ইজরায়েলে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল ইজরায়েলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। হামাস জঙ্গিরা সীমান্তের কাটাতার কেটে ইজরায়েলে ঢুকে পড়ে। অমানবিক তাণ্ডব চালায় তারা। সাধারণ মানুষকে বাড়িতে ঢুকে ঢুকে খুন করে হামাসের বন্দুকবাজরা। সঙ্গে অনেককেই অপহরণ করে তারা। এরপর ইজরায়েলও পালটা জবাবি হামলা চালায়। শুরু হয় যুদ্ধ।
আরও পড়ুন: কেন মহিলাদের পদবি বদলাতে লাগে স্বামীর NOC? কেন্দ্রের জবাবে 'হতবাক' TMC সাংসদ
গাজায় ইজরায়েলি সেনার হামলায় কয়েক হাজার প্যালেস্তিনীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত। গাজায় যা পরিস্থিতি, তাতে সবথেকে বেশি ভুক্তভোগী সাধারণ নিরপরাধ প্যালেস্তিনীয়া। যুদ্ধ শুরুর সময়ে গাজায় ২৩ লাখের বসবাস ছিল। তবে ক্রমেই কয়েক লাখ মানুষ গাজা ছেড়েছেন। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে প্যালেস্তাইন অথোরিটির থেকে গাজা ভূখণ্ডের ক্ষমতা জোর করে ছিনিয়ে নিয়েছিল হামাস। তবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত নয় তাদের সেই সরকার। তবে আক্ষরিক অর্থে গাজার প্রশাসন তাদেরই হাতে। আর এই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে ইজরায়েল। তবে এই যুদ্ধে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের।