বাংলা নিউজ > ক্রিকেট > পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেলেন গিলরা, চিনতেই পারলেন না IPL-এর প্রথম আদিবাসী ক্রিকেটার রবিনের 'সিকিউরিটি গার্ড' পিতাকে
পরবর্তী খবর
পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেলেন গিলরা, চিনতেই পারলেন না IPL-এর প্রথম আদিবাসী ক্রিকেটার রবিনের 'সিকিউরিটি গার্ড' পিতাকে
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 22 Feb 2024, 08:57 AM ISTAbhisake Koley
পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শুভমন গিলও জানতেন না যে, বিমানবন্দরের এই নিরাপত্তরক্ষীর ছেলে ক'দিন পরেই তাঁর নেতৃত্বে আইপিএল খেলতে নামবেন।
ধোনির সঙ্গে রবিন মিঞ্জের পিতা ফ্রান্সিস। ছবি- ফ্রান্সিস জেভিয়ার মিঞ্জ।
পরিচিতরা তাঁকে রাঁচির ক্রিস গেইল বলে ডাকেন। রবিন মিঞ্জ প্রথম আদিবাসী ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলের আঙিনায় মাথা গলিয়ে দিয়েছেন। গত আইপিএল নিলাম থেকে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এক আনকোরা উইকেটকিপার-ব্যাটারকে গুজরাট টাইটানস কিনে নেওয়ার পরেই খোঁজ নেওয়া শুরু হয়ে যায় কে এই রবিন?
আইপিএল নিলামের আগে পর্যন্ত রবিন মিঞ্জ নামটাই অচেনা ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে। আইপিএলে চমকপ্রদ পারফর্ম্যান্স মেলে ধরতে পারলে নিশ্চিতভাবেই ঝাড়খণ্ডের বাঁ-হাতি উইকেটকিপার-ব্যাটার আরও পরিচিতি পাবেন ভারতীয় তথা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটমহলে। আপাতত এখনও ভারতীয় ক্রিকেটে খুব একটা পরিচিত নন রবিন।
অত্যন্ত সম্ভাবনাময় আগ্রাসী ক্রিকেটারকেই যখন বেশিরভাগ লোকে চেনেন না, তখন তাঁর সিকিউরিটি গার্ড বাবাকে ক'জনই বা চিনতে পারেন! রাঁচি বিমানবন্দর থেকে যখন একে একে ভারতীয় ক্রিকেটাররা বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, গর্বে বুক ফুলে উঠছিল বিরসা মুন্ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক ছাপোষা নিরাপত্তকর্মীর, যিনি মূলত অ্যারাইভাল হলের বাহিরপথের দ্বাররক্ষী হিসেবে কর্তব্য পালন করেন।
রোহিতরা তো ননই, এমনকি শুভমন গিলও চিনতে পারেননি কদিন পরেই তাঁর নেতৃত্বে মাঠে নামতে চলা রবিন মিঞ্জের পিতা ফ্রান্সিস জেভিয়ারকে। খেলাধুলো করার সুবাদে সেনাবাহিনীতে চকরি করতেন রবিনের পিতা ফ্রান্সিস। অবসরের পরে রাঁচি বিমানবন্দরের নিরাপত্তরক্ষীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
গিলরা না চিনলেও কোনও অক্ষেপ নেই ফ্রান্সিসের। কেননা তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, একদিন তিনি ঠিক এরকমই বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্ব পালন করবেন। পাশ দিয়ে ভারতীয় দলের পোশাক গায়ে বেরিয়ে যাবে তাঁর ছেলে রবিন। তিনি নিশ্চিত যে, সেদিন এই ছাপোষা নিরাপত্তারক্ষীর দিকে তাকিয়ে সবাই বলবেন, ইনি রবিনের বাবা।
ছেলে বিরাট অঙ্কের আর্থিক চুক্তিতে আইপিএল খেলার সুযোগ পাওয়ার পরে অনেকেই রবিনের পিতাকে বলেছিলেন যে, এখনও তাঁর কাজ করার কী দরকার। তবে ফ্রান্সিস অত্যন্ত বাস্তববাদী। তিনি জানেন, জীবন যে কোনও মুহূর্তে মোড় বদলাতে পারে। তাই তিনি যতদিন সক্ষম থাকবেন, কাজ করে যেতে বদ্ধপরিকর। তাছাড়া ছেলেকে জাতীয় দলের সঙ্গে বিমানে চড়তে দেখার স্বপ্ন তো রয়েছেই।