ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের (CAB) সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি ডায়রিয়া, বমি এবং পেটের ব্যথায় ভুগছেন। এই মুহূর্তে তিনি উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘মিস্টার স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় আজ সকালে ডায়রিয়া, বমি এবং পেটের ব্যথা নিয়ে ডা. সপ্তর্ষি বসুর তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ইনট্রাভেনাস স্যালাইন এবং অ্যান্টিবায়োটিকস নিচ্ছেন। তিনি স্থিতিশীল এবং পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।’
এদিনই কটক জেলায় হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। এখন পর্যন্ত ৬৪ জন রোগীর খোঁজ পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৫৫ জনকে এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, এবং বাকি ৯ জন কটক সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এই প্রেক্ষিতে একজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কটক জেলার সব স্কুল ও কলেজ ২০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। সিটি হাসপাতালের সিনিয়র মেডিসিন কনসালট্যান্ট চিকিৎসক তপন কুমার মিশ্র রোগীদের আচরণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
চিকিৎসক তপন কুমার মিশ্র বলেন, ‘রোগীরা সকালবেলা পেটব্যথা ও বমির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। কিন্তু মাত্র ১-২ দিন স্যালাইন ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েই অনেকেই কর্মীদের না জানিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় আমরা কিছু করতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসা সম্পূর্ণ না করলে পূর্ণ সুস্থতা সম্ভব নয়। মাঝপথে চিকিৎসা ছেড়ে দেওয়ার এই মানসিকতা খুবই বিপজ্জনক।’ চিকিৎসক মিশ্র এমন রোগীদের কাউন্সেলিংয়ের ওপর গুরুত্ব দেন। বর্তমানে সিটি হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের জন্য ২০টি নির্দিষ্ট শয্যা রাখা হয়েছে এবং জরুরি পরিস্থিতির জন্য আরও ৫টি অতিরিক্ত শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
চিকিৎসক তপন কুমার মিশ্র জনসাধারণকে সতর্ক করে সবধরনের রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রশাসন পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে এবং সকলকে সতর্ক থাকার ও চিকিৎসকদের পরামর্শ মানার অনুরোধ জানিয়েছে।