একুশে জুলাই শহিদ দিবসকে ঘিরে তৃণমূলের প্রস্তুতি জোরকদমে। রাজ্যজুড়ে যখন প্রস্তুতি তুঙ্গে, তখনই বনগাঁয় তৃণমূলের অন্দরেই শুরু হয়েছে তীব্র টানাপড়েন। প্রস্তুতি সভায় প্রকাশ্যে এল দুই সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর এবং পার্থ ভৌমিকের মধ্যে চরম মতবিরোধ। গোবরডাঙা টাউন হলে তৃণমূলের তরফে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। সভার মাঝেই মমতাবালা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, যে মিটিংয়ে পার্থ ভৌমিক থাকবেন, সেখানে তিনি থাকবেন না। তাঁর এমন মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্বও।
আরও পড়ুন: শান্তনুর বিরুদ্ধে অনশনে অসুস্থ মমতাবালার মেয়ে মধুপর্ণা, তাও চলবে প্রতিবাদ
কেন তিনি এমন কথা জানিয়েছেন, তার কারণ নিজেই সামনে এনেছেন মমতাবালা। সভার শুরুতেই তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের উপস্থিতিতে দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে মমতাবালা জানান, তিনি আগের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি। কারণ দিল্লি থেকে আচমকাই ডাক এসেছিল। তখন তিনি বিশ্বজিৎকে বৈঠক পিছিয়ে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু, পরে জানতে পারেন, পার্থ ভৌমিক নিজে মিটিং করতে বলেছেন। তাই নিয়ে পার্থর ওপর ক্ষুব্ধ মমতা।
এরপরই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জানান, বেশ কয়েকবার পার্থকে ফোন করেছেন, কিন্তু কোনও উত্তর পাননি। মমতাবালা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পার্থ কী দায়িত্বে আছেন, তা তিনি জানেন না। তবে পার্থ যে বৈঠকে থাকবেন, তিনি সেই বৈঠকে থাকবেন না। মমতাবালা জানিয়ে দেন, দলের হয়ে তিনি রাজ্যসভায় থেকে নিজের দায়িত্ব পালন করবেন।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পার্থ ভৌমিককে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, বিশ্বজিৎ দাস এ বিষয়ে বলতে পারবেন। তৃণমূলের অন্দরেই যখন শহিদ দিবসের আগে এমন প্রকাশ্য বিবাদ সামনে এল, তখন রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে। এটা কি শুধুই ব্যক্তিগত মতবিরোধ, নাকি দলের ভিতরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? এই পরিস্থিতি একুশে জুলাইয়ের জমায়েতে বনগাঁর তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের অংশগ্রহণ কতটা প্রভাব ফেলবে এখন তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।