এবার বেশ কয়েকটি সংশোধনী বিল পেশ হওয়ার কথা আছে বিধানসভায়। আজ, সোমবার তা নিয়েই বসেছিল বিধানসভার বাদল অধিবেশন। প্রথমার্ধে হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। আর তখনই উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভার কক্ষ। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের সময়ই হট্টগোল শুরু করে বিজেপি বিধায়করা। এই আবহে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য বিধানসভা। আর এই ঘটনার পরই কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাওকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই প্রতিবাদে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। এভাবেই ওয়াকআউট সংস্কৃতি বজায় রাখলেন গেরুয়া বিধায়করা।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে আজ সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন বিজেপি হট্টগোল করতে শুরু করে। তখনই মনোজ ওঁরাওকে সাসপেন্ড করা হয়। যদিও সেটা কতদিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। সাসপেন্ডের প্রতিবাদে বিধানসভা ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। আগেও বারবার এই পথেই তাঁদের হাঁটতে দেখা গিয়েছিল। বিধানসভার সিঁড়িতে বসে তখন বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পদ্ম বিধায়করা। সামনে তখন রাখা ছিল তুলসি গাছ। বিজেপি বিধায়কদের দাবি, ন্যায্য বিষয়ে কথা বলতে যখন চেয়েছিলন তখনই তাঁদের সাসপেন্ড করে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শহরে ৪০টি স্পর্শকাতর জায়গা চিহ্নিত হয়েছে, ৮৫টি সিসি ক্যামেরা বসাচ্ছে লালবাজার
বিজেপির শিক্ষক সেলের বিধায়করা মুলতুবি প্রস্তাব জমা করেন। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার বিষয় নিয়ে আলোচনা চান বিজেপি বিধায়করা। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৬ হাজার চাকরিহারাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা চান তাঁরা। অধ্যক্ষ তখন জানান, যেহেতু এই বিষয়টি বিচারাধীন তাই তা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা সম্ভব নয়। তখনই বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিয়ে চিৎকার করতে থাকেন। তখন মনোজ ওঁরাওকে সাসপেন্ড করা হয়। আর বিধানসভা ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বিধানসভায় উপস্থিত হয়ে বলেন, ‘১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। বাংলার বকেয়া এবং পাওনা টাকা তারা পাঠিয়ে দিচ্ছে অন্য রাজ্যে। একাধিক কমিশন এখানে এসে যা যা জানতে চেয়েছে, সে সব তথ্য তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারপরও পাওনা নিয়ে টালবাহানা চলছে।’
তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের সময়ই উঠে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেন বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় এবং শঙ্কর ঘোষরা। পাল্টা জবাব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিজেপি বিধায়কদের তোপ দাগেন তিনি। বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘আগে কাউন্সিলর নির্বাচনে জিতে আসুন। আমাকে তো জোর করে হারানো হয়েছে। আমি জিতে দাঁড়িয়ে আছি। বাংলা ভাষায় কথা বললে কিছু রাজ্যে হেনস্থা করা হচ্ছে। বাংলাদেশি বলে বাসিন্দাদের বিতাড়িত করা হচ্ছে। কেন্দ্রে চোরেদের সরকার চলছে। এমন অসঙ্গতি অন্য রাজ্যেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু টাকা আটকানো হয়নি। বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে।’