যাত্রীদের অসুবিধার জন্য রেলের পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়েছে। বাতিল হয়েছে ১৪টি মেমু। আর ২০টি দূরপাল্লার ট্রেন ব্যান্ডেল–কাটোয়া–নিউ ফরাক্কা রুটে চালানো হচ্ছে। উত্তরবঙ্গগামী অন্যান্য ট্রেনও এখন ভর্তি। সুতরাং টিকিট কাটতে গেলে ওয়েটিং দেখাচ্ছে। ১৪টি মেমু ট্রেনও বাতিল থাকছে। বাস হচ্ছে বিকল্প লাইফলাইন।
বিশেষ বাস চালানোরও ব্যবস্থা করবে এনবিএসটিসি।
শীতের মরশুমে অনেকেই লাগেজ গুছিয়ে উত্তরবঙ্গ পাড়ি দেন। সেখানে পাহাড়ের হিমেল হাওয়ায় মাখামাখি করে আবার বঙ্গে ফিরে আসতে চান। এখানেও এখন শীত বিদ্যমান। কিন্তু গোটা পরিকল্পনা ঘেঁটে দিয়েছে রেল। ফলে শৈলশহরে ট্রেনে করে পৌঁছনো এখন বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠল পর্যটকদের কাছে। মাথায় হাত পড়েছে যাঁরা ট্রেনের টিকিট কেটে বসে আছেন। ট্রেনে করে সফর করা হবে না। কারণ আগামী ১০ দিন উত্তরবঙ্গগামী একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল বলে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। আর তাতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পর্যটকদের মধ্যে। বিকল্প হিসেবে তাহলে ভরসা কী? উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে আগামী কিছুদিন চলবে না শিয়ালদা থেকে আলিপুরদুয়ার জংশনগামী কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসও। অন্যান্য অনেক ট্রেনই চলবে না। এই কঠিন পরিস্থিতিতে পর্যটকদের কথা ভেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার উত্তরবঙ্গ সড়ক পরিবহণ নিগমের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুতরাং এখন শুধুই বাস হচ্ছে বিকল্প লাইফলাইন। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রামপুরহাট শাখায় চাতরা থেকে মুরারই পর্যন্ত তৃতীয় লাইনের কাজ চলছে। তার জন্যই ট্রেনগুলি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু দূরপাল্লার ট্রেন চলবে না এমন নয়, ১৪টি মেমু ট্রেনও বাতিল থাকছে।
অন্যদিকে কোন ট্রেনগুলি বাতিল থাকছে? তা জানতে খোঁজখবর করতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। তবে রেল সূত্রে খবর, কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, হাওড়া–আজিমগঞ্জ এক্সপ্রেস, হাওড়া–গয়া এক্সপ্রেস, মালদা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস বাতিল থাকবে এই ১২ দিন। তাই যাত্রীদের অসুবিধার জন্য রেলের পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়েছে। বাতিল হয়েছে ১৪টি মেমু। আবার ২০টি দূরপাল্লার ট্রেন ব্যান্ডেল–কাটোয়া–নিউ ফরাক্কা রুটে চালানো হচ্ছে। উত্তরবঙ্গগামী অন্যান্য ট্রেনও এখন ভর্তি। সুতরাং টিকিট কাটতে গেলে ওয়েটিং দেখাচ্ছে। তবে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ৪টি অতিরিক্ত বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরবঙ্গ সড়ক পরিবহণ নিগম।
আর কী জানা যাচ্ছে? এনবিএসটিসি অতিরিক্ত বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতে অনেকটা রক্ষে পর্যটকদের। যাঁরা পরিকল্পনা করে ফেলেছেন দার্জিলিং যাওয়ার। এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পাহাড় সফরে আছেন। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ৪টি অতিরিক্ত বাস চলবে। আবার শিলিগুড়ি থেকেও কলকাতা পর্যন্ত অতিরিক্ত বাস চালানো হবে। তারপর যদি প্রয়োজন পড়ে তবে বাসের সংখ্যা বাড়ানোও হবে বলে জানিয়েছে এনবিএসটিসি। আবার মানুষের চাহিদা থাকলে ডুয়ার্স পর্যন্তও বিশেষ বাস চালানোরও ব্যবস্থা করবে এনবিএসটিসি। শিলিগুড়ি থেকে চারটি বাস অতিরিক্ত চলবে ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত রাতে।