কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। রাত পোহালেই সবচেয়ে বড় খবর সংসদ থেকে শুরু হয়ে যাবে। যা সম্প্রচার হবে সংবাদমাধ্যমে। আর সেটা হল— ২০২৫–২৬ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ। যা করবে তৃতীয় এনডিএ সরকার। সেখানে বাংলা কতটা বঞ্চিত হবে, গরিব মানুষের কতটা সুরাহা হবে, কৃষকদের লাভ হবে কিনা, আয়করে ছাড় বাড়বে কিনা এসবেই চোখ থাকবে আমআদমির। তবে এই বাজেটে জনস্বার্থের পরিপন্থী হবে বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাই কেন্দ্রীয় সরকারকে আবার চাপে ফেলতে প্রস্তুত হয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ শুক্রবার নয়াদিল্লি যাওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে সে কথাই বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় গরিব মানুষের উন্নতি ঘটেনি। বরং আরও অবস্থা খারাপ হয়েছে। সেখানে বড়লোকেরা ফুলেফেঁপে উঠেছে। এমন কথাই বলে গেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যে সংসদে বাজেটের পর কেন্দ্রীয় সরকারকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়বেন না সেটা তাঁর শরীরী ভাষায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আজ নয়াদিল্লি যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট কথায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যে দিন থেকে মোদী সরকার কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসীন হয়েছে, সেদিন থেকেই বাজেটের ফলাফল একটাই। গরিবরা আরও গরিব হয়েছে। আর বড়লোকদের ধনসম্পদ আরও বেড়েছে।’
আরও পড়ুন: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের সরস্বতী পুজোয় ভিডিয়ো রেকর্ডিং, বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
এখন কেন্দ্রীয় সরকার নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর সমর্থনের উপর ভর করে চলছে। কারণ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। তাই ১ ফেব্রুয়ারি বাজেটের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ ভারত বা বিকশিত ভারতের আর্থিক রোডম্যাপ পেশ করা হবে। যা পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। এবারের বাজেটে অনেকগুলি বিষয়ের উপর চোখ রাখবে দেশের সাধারণ মানুষ। বাজেটে সুখবর থাকছে কিনা ইপিএফও স্কিমে, কৃষকরা যে দাবি রেখেছে তা মিটছে কিনা, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ছে কিনা, কোন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে বা কমছে, অন্যান্য রাজ্য কোনও আর্থিক প্যাকেজ পাচ্ছে কিনা, ব্যবসায়ী যাঁরা তাঁদের লাভ কেমন হচ্ছে, চাকরিজীবিদের লাভ হবে কিনা ইত্যাদি। এই আবহেই অভিষেক বাজেট নিয়ে যথেষ্ট হতাশ তা জানালেন।