বোলপুর থানার আইসিকে ফোন করে কদর্য ভাষায় হুমকি দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর প্রথমবার কলকাতা এসে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের ক্ষোভ টের পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। এদিন দলের তরফে তাঁকে লাস্ট ওয়ার্নিং দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, দল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোনও মন্তব্য করলে এর পর তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে তৃণমূল। শীর্যনেতৃত্বের এই হুঁশিয়ারির পরে তৃণমূলে অনুব্রতর পরিণতি কী হয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন অনেকেই।
শনিবার কলকাতায় তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে প্রস্তুতি বৈঠকে যোগ দেন অনুব্রত। বৈঠক শেষে অনুব্রত ও কাজল শেখকে অন্য একটি বাড়িতে নিয়ে যান সুব্রত বক্সি। সেখানে তাঁদের ২ জনকেই দলের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। অনুব্রতকে জানানো হয়েছে, যে ভাষায় তিনি আইসিকে আক্রমণ করেছেন তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। ফের এই ধরণের কোনও ঘটনা ঘটলে বা তাঁর কোনও কথায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হলে দল তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে। দলের এই সতর্কবার্তার পর তৃণমূলে অনুব্রত আরও কোণঠাসা হয়ে পড়তে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের মতে, এটা মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা। আইসিকে ফোনে হুমকি দেওয়ার পরেও অনুব্রত মণ্ডলকে জেলের বাইরে রেখে আসলে এই ধরণের কাজে দলীয় নেতাকর্মীদের উৎসাহ দিচ্ছে তৃণমূল। তাছাড়া আর কিছু করারও নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কারণ এদের পিঠে চড়েই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। নামলেই এরাও ওনাকে খেয়ে নেবে।