ট্রেনের শৌচাগারে দেখা মিলল একটি সাপের। আর তাতেই ব্যাপক আতঙ্ক ছড়াল যাত্রী ও কর্মীদের মধ্যে। শুক্রবার পুরুলিয়া-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের একটি শৌচাগারে সাপের লেজ দেখতে পেয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় রেলকর্মীদের মধ্যে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ট্রেনে চিরুনি তল্লাশি চলে। যদিও শেষ পর্যন্ত সাপটির সন্ধান মেলেনি। আতঙ্কে অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে প্লাটফর্মে নেমে পড়েন বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনের উপর ভেঙে পড়ল সেতু, মৃত ৭, রাশিয়ায় দুর্ঘটনা নাকি বড় কোনও ষড়যন্ত্র?
জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া থেকে ভোরে ছেড়ে আসা সুপারফাস্ট ট্রেনটি যখন চন্দ্রকোণা রোড স্টেশনে দাঁড়ায়। তখন শৌচাগার পরিষ্কার করতে যান এক সাফাইকর্মী। সেই সময়ই একটি শৌচাগারে ঢুকে হঠাৎই পাইপের ফাঁক দিয়ে একটি সাপের লেজ দেখতে পান তিনি। ঘটনায় তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
দ্রুত বাথরুম থেকে বেরিয়ে এসে বিষয়টি জানান সুপারভাইজারকে।সুপারভাইজারের নির্দেশে তিনি মোবাইলে সেই দৃশ্যটি ভিডিয়ো করে রেখে দেন। ভিডিয়ো দেখে রেলকর্মীরা নিশ্চিত হন যে, সন্দেহ অমূলক নয়। এরপরই নিরাপত্তার খাতিরে বাথরুমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।ট্রেনটি মেদিনীপুর স্টেশনে পৌঁছাতেই বন দফতরের পক্ষ থেকে সর্পরক্ষক ও আরপিএফের একটি দল দ্রুত ট্রেনে ওঠে এবং সাপটি খুঁজতে তল্লাশি শুরু করে। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলা সেই চিরুনি তল্লাশির পরেও সাপের কোনও খোঁজ মেলেনি।
আরপিএফের এক আধিকারিক জানান, ঘটনার গুরুত্ব বুঝে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেহেতু ভিডিয়োয় দেখা সাপটি খুব একটা পরিচিত নয়, তাই সেটি বিষাক্ত কিনা, তা বলা যাচ্ছে না। তবে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার, তা করা হয়েছে। রেলের এক আধিকারিক বলেন, সম্ভবত রাতে কারশেডে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকার সময় কোনওভাবে সাপটি ঢুকে পড়ে। এমন ঘটনা বিরল হলেও, পুরো বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক যাতে না ছড়ায়, তার জন্য ট্রেন চলাকালীন পর্যবেক্ষণ জারি রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়।
জানা যায়, এই ঘটনায় ট্রেনের বহু যাত্রী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই প্ল্যাটফর্মে নেমে, আবার কেউ কেউ ট্রেনের কামরায় দরজার পাশে দাঁড়িয়ে সাপের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু করেন। রেলযাত্রীদের বক্তব্য, ট্রেন যাত্রা শুরু করার আগে সমস্ত কামরা খতিয়ে দেখা উচিৎ রেলের। একটা সাপ দেখে আতঙ্কে পুরো ট্রেন যাত্রীরা অস্থির হয়ে উঠেছিলেন। এটা ছোট ব্যাপার নয়। রেলের তরফে যাত্রীদের নিরাপত্তায় ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।