অগ্নিকাণ্ডের সময় দমকল বাহিনী তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা জীবন রক্ষা করতেই ছুটে গিয়েছিল। পাশাপাশি, বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন মন্ত্রী।
দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।
খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ মার্কেটের ভয়াবহ আগুন ঘিরে দমকল বিভাগের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে একাধিক প্রশ্ন উঠছিল। কখনও অভিযোগ উঠেছে দেরিতে ইঞ্জিন পৌঁছনোর, কখনও আবার পর্যাপ্ত জলের ঘাটতির কথা বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিধানসভায় ঘটনার বিস্তারিত বিবৃতি দেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। কোনও গাফিলতি ছিল না বলেই তিনি দাবি করেছেন।
এদিন দমকল মন্ত্রী জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় দমকল বাহিনী তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা জীবন রক্ষা করতেই ছুটে গিয়েছিল। পাশাপাশি, বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, সেনাবাহিনীর মতোই দমকল কর্মীরাও জীবন বাজি রেখে কাজ করেন, তাঁদের অবমূল্যায়ন করা ঠিক নয়।
মন্ত্রী জানান, রাত ২টা ৫ মিনিটে দমকল কন্ট্রোল রুমে আগুন লাগার খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গেই ইঞ্জিন পাঠানো হয় এবং পরপর ২০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। তিনি নিজেও সকাল ছ’টায় সেখানে পৌঁছন। বিভিন্ন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা তখন উপস্থিত ছিলেন। ইঞ্জিন পৌঁছতে দেরি হয়েছে এই অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি মন্ত্রীর।
জলের ঘাটতির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সুজিত বসু বলেন, গঙ্গা থেকে জল তুলতে ব্যবহৃত পাম্প কেন চলেনি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পরে আদি গঙ্গা থেকে জল এনে আগুন নেভানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দমকল বাহিনীর কর্মীরা কোনও অভিযোগ ওঠার আগেই নিঃশব্দে কাজ করে যান। অতীতে আগুন নেভাতে গিয়ে একাধিক দমকল কর্মী তাঁদের জীবন দিয়েছেন। গত বছরেই চারজন কর্মী কর্তব্যরত অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছেন। একজন কর্মী বালির ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। এই পেশা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, তা মানুষকে বোঝা উচিত।