পুলিশি নিষ্ক্রিয়তাতেই বুধবার মেটিয়াবুরুজের রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায় ছড়িয়েছে গোষ্ঠী সংঘর্ষ। স্থানীয়রা যখন এই অভিযোগে সরব তখন ওই ঘটনায় RSS ও বিজেপির ঘাড়ে বল ঠেলার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল পুলিশ। সাংবাদিক বৈঠক করে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী। তাঁর দাবি, বুধবার রাতে বোমার মশলাসহ এক RSS নেতাকে বজবজ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই ঘটনার সঙ্গে মেটিয়াবুরুজ হিংসার কোনও যোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল গোস্বামী বলেন, ‘বুধবার রাত পৌনে ন’টা নাগাদ সূত্রের খবরের ভিত্তিতে বজবজ থানা প্রচুর পরিমাণে বোমার মশলা উদ্ধার করে। যে ৩টি বাইকে করে বোমার মশলা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। প্রচুর সোডিয়াম পাউডার, ১০ কেজির ওপরে অ্যালুমুনিয়াম পাউডার, ফসফরাস পাউডার, লাল সালফার ও লোহার গুঁড়ো আমরা উদ্ধার করেছি। যেগুলো বোমা তৈরির কাজে লাগে। এখন আমরা খতিয়ে দেখছি যে এই মশলা দিয়ে কত বোমা তৈরি করা যেত। এই সময় আমরা ৫ জনকে ধরতে সক্ষম হই। তাদের মধ্যে একজন হলেন নবীন চন্দ্র রায়। তিনি একজন সক্রিয় RSS কর্মী। সক্রিয় বিজেপি কর্মী। গত রামনবমীতে পুলিশ যখন বজবজের বাটা মোড়ে ব্যারিকেড করে মিছিলের যাত্রাপথ নির্দিষ্ট করে তখন পুলিশের সঙ্গ বচসায় জড়িয়েছিলেন তিনি। তার ভিডিয়ো ফুটেজও আমাদের কাছে রয়েছে। কেন এই জিনিসগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। হামলাকারীরা যে সম্প্রদায় বা যে রাজনৈতিক দলের সদস্যই হোন না কেন তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ করা হবে। তবে কোনও পক্ষের ধর্মোন্মাদদের কথায় সাধারণ মানুষ যেন কান না দেন।