জুনিয়র ডাক্তারদের বেঁধে দেওয়া 'ডেডলাইন' শেষ হয়ে গেল। আমরণ অনশন শুরু করছেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রথম দফায় ছ'জন অনশন শুরু করছেন। তবে তাঁদের মধ্যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের কেউ নেই। আপাতত অন্যান্য হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা আমরণ শুরু করছেন। তাঁদের বক্তব্য, যতদিন না সরকার দাবি মেনে নিচ্ছে অথবা তাঁদের মৃত্যু হচ্ছে, ততদিন আমরণ অনশন চলবে। আর যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে সেটার দায় বর্তাবে রাজ্য সরকারের উপরে। জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন 'পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট'-র তরফে বলা হয়েছে, ‘স্বচ্ছতার স্বার্থে অনশন মঞ্চে সিসিটিভি বসানো হচ্ছে। আর সেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে পাবেন সাধারণ মানুষ। তাঁরাও আমাদের পাশে আছেন। কাজে আমরা ফিরছি। কিন্তু আমরা খাবার খাব না।’
কারা কারা আমরণ অনশন করছেন?
প্রথম দফায় কোন কোন জুনিয়র ডাক্তার আমরণ অনশন করবেন, তাঁদের নাম অবশ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তাঁরা কোন কোন মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রতিনিধি, তাও আপাতত জানানো হয়নি 'পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট'-র তরফে। সূত্রের খবর, কলকাতার যে মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল আছে, সেখানকার ছ'জন জুনিয়র ডাক্তার প্রাথমিকভাবে অনশন শুরু করবেন।
সংগঠনের এক ‘মুখ’ জানিয়েছেন যে খুব শীঘ্রই ছ'জন অনশনকারীর নাম ঘোষণা করা হবে। তাঁদের জন্য আলাদা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। তাঁদের আশপাশে থাকবে অন্য জুনিয়র ডাক্তাররা (যাঁরা অনশন করছেন না)। থাকবেন সাধারণ মানুষও। আপাতত মঞ্চের কাজ চলছে।
দ্বিতীয়ায় হুঁশিয়ারি, তৃতীয়ায় আমরণ অনশন শুরু
জুনিয়র জাক্তাররা যে আমরণ অনশন করবেন, সেই হুঁশিয়ারি শুক্রবারই দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার রাতে জুনিয়র ডাক্তাররা দাবি করেছিলেন যে কর্মবিরতি তুলে নেওযা হচ্ছে। কিন্তু তাঁরা যে ১০টি দাবি তুলেছেন, সেগুলি পূরণের জন্য রাজ্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। শনিবার রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের মধ্যে দাবি পূরণ না করা হলে ডোরিনা ক্রসিংয়ে আমরণ অনশন শুরু করবেন।
আরও পড়ুন: প্রতিবাদীদের সাথে সাংবাদিকদেরও পেটাল ধর্ষণের প্রমাণ লোপাটে অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশ
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জুনিয়র ডাক্তারদের
আর শনিবার রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের কিছুটা পরে সাংবাদিক বৈঠক করে জুনিয়র ডাক্তাররা জানান যে তাঁরা আমরণ অনশন শুরু করছেন। সরকারের তরফ থেকে কোনও সদর্থক বার্তা আসেনি। বরং পুলিশের তরফে বারবার বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, ডেকরেটার্সদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যাতে জুনিয়র ডাক্তাররা মঞ্চ বাঁধতে না পারেন, সেজন্য কর্মীদেরও হুমকি দিচ্ছে পুলিশ।