আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার জেরে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমেছেন। বিচারের দাবি তুলেছেন। স্লোগান উঠেছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে সেই বিক্ষোভ আন্দোলনে আজ, শনিবার অচলাবস্থা কাটাতে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই ঘটনার পর প্রশংসা করে এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিলেন সদ্য পদত্যাগী তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ জহর সরকার। আজ, শনিবার মাত্র একটি শব্দে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদক্ষেপকে ‘বাঃ’ বলে বর্ণনা করেন প্রাক্তন সাংসদ জহর সরকার। এমনকী আজকের পদক্ষেপ দেখেই জহর সরকার এক্স হ্যান্ডেলে মনে করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর লেখা চিঠির একটি কথা।
স্বাস্থ্যভবনের সামনে ১৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। যাতে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলা নেমে না আসে। এই আবহে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত হওয়ায় স্বাগত জানান তাঁরা। আর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নয়, দিদি হিসাবে এসেছেন বলার পর বরফ অনেকখানি গলেছে। তাই আজ সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে বৈঠকে বসতে চলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানে জহর সরকার লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা শেষ (৮ সেপ্টেম্বর) চিঠিতে আমি বলেছিলাম, আমি গত একমাস ধৈর্য ধরে আরজি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি। আর ভেবেছি আপনি কেন সেই পুরনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না।’ আজ সেটাই হল শেষপর্যন্ত।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর হোর্ডিংয়ে বিজ্ঞাপন সংস্থা–কমিটির নাম বাধ্যতামূলক, ফরমান জারি কলকাতা পুরসভার
আজ, শনিবার স্বাস্থ্য ভবনে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে অচলাবস্থা কাটানোই লক্ষ্য। তখনই খাবারের কথা তুলে ধরেন তিনি। সতর্ক করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে দু’পক্ষের নানা কথা হয়। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি তিনি বিবেচনা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। শুধু কাজে ফিরতে অনুরোধ করেন। যাতে আর মানুষ মারা না যান। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনা মঞ্চে গিয়ে কথা বলতেই মুখ্যমন্ত্রীকে তারিফ করে বাহবা দিলেন দলের সদ্য প্রাক্তনী জহর সরকার। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের আর এক সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ও সরাসরি নিজের সরকারের সমালোচনা না করলেও ঠারেঠোরে বিরোধিতা করেছেন।