বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Nawsad Siddique: এত পাতলা, যে মাছ কাটতে হাত কাটবে! জেলে খাবার কেমন, শোনালেন নওশাদ
পরবর্তী খবর
Nawsad Siddique: এত পাতলা, যে মাছ কাটতে হাত কাটবে! জেলে খাবার কেমন, শোনালেন নওশাদ
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 06 Feb 2024, 07:01 PM ISTChiranjib Paul
এদিন কারমন্ত্রী জেলে কী পরিমাণ খাবার দেওয়া হয় তার হিসাব দেন বিধানসভায়। অখিলগিরি জানান, জেলে প্রতিদিন ২৫০ গ্রাম চাল, ১০০ গ্রাম ডাল, ৩০০ গ্রাম সবজি ও ১০০ গ্রাম আলু দেওয়া হয়।
আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী
প্রশ্নোত্তর পর্বে মঙ্গলবার বিধানসভায় জেলের খাবার কেমন তার বর্ণনা দিচ্ছিলেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি। মন্ত্রীর বর্ণনা অনুযায়ী জেলের খাবারের গুণগত মান যথেষ্ট ভালই। কারমন্ত্রী এই দাবির বিরোধিতা করেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর দাবি মাছের যা সাইজ তা কাটতে গিয়ে যিনি কাটেন তাঁর হাত কাটবে।
এদিন কারমন্ত্রী জেলে কী পরিমাণ খাবার দেওয়া হয় তার হিসাব দেন বিধানসভায়। অখিল গিরি জানান, জেলে প্রতিদিন ২৫০ গ্রাম চাল, ১০০ গ্রাম ডাল, ৩০০ গ্রাম সবজি ও ১০০ গ্রাম আলু দেওয়া হয়। সপ্তাহে একদিন করে ৭৫ গ্রাম মাছ,৭৫ গ্রাম মাংস, ২৫ গ্রাম করে ডিম ও সয়াবিন দেওয়া হয়। বিকেলে চারটে বিস্কুট-সহ চা-ও দেওয়া হয়। টিফিনে মুড়ির সঙ্গে থাকে বাদাম ও ডাল ভাজা। নিরামিষভোজীদের জন্য থাকে ২৫০ মিলিলিটার দুধ।
মন্ত্রী এই বক্তব্য শুনে রুখে দাঁড়ান নওশাদ সিদ্দিকি। গত বছর ধর্মতলায় অশান্তির ঘটনায় ৪২ দিন খেটেছেন ভাঙড়ের বিধায়ক। তাই তাঁর জেলে বন্দি হিসাবে থাকা অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি নিজের জেল জীবনের অভিজ্ঞতা শোনান। তিনি বলেন জেলের খাবার অত্যন্ত নিম্নমানের।
শীতকালে বিকালে সাড়ে চারটেতে খাবার দেওয়া হয়। সরকারি ভাবে ৭৫ গ্রাম করে মাছ দেওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে তার সাইজ এতটাই পাতলা যে যিনি মাছ কাটেন তার হাত কেটে যাবে কাটতে গিয়। তিনি দাবি করেন, জেলবন্দির ভাতটা অন্তত গরম দেওয়া হোক।
ক্যাগের পেশ করা রিপোর্ট নিয়ে বাংলায় রাজনৈতিক বিতর্ক চলছে। সেই বিতর্কের রেশ পড়ল বিধানসভাতেও। ক্যাগের রিপোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে আলোচনা চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেয় বিজেপির পরিষদীয় দল। সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
তার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্ব বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। পোস্টার স্লোগান নিয়ে তাঁরা বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।