চ্যাংদোলা মন্তব্যের পর থেকেই ২ জনের সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়। এবার সেই শুভেন্দু অধিকারীর সমালোচনা করতে গিয়ে দিলীপ ঘোষকে প্রশংসায় ভরালেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারী চক্রান্ত করতে ভালোবাসেন। উনিই চক্রান্ত করে দিলীপ ঘোষকে খড়গপুর থেকে পূর্ব বর্ধমানে পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন - মাটির সহনক্ষমতার বাইরে বর্জ্য, বেলগাছিয়া ভাগাড় নিয়ে বিপদের আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের
আরও পড়ুন - তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত ইফতারে নেতা–কর্মীদের মেনুতে বৈষম্য, অভিযোগ অন্দরে
আরও পড়ুন - যুবককে উত্তর কলকাতার যৌনপল্লিতে আটকে চলল ব্ল্যাকমেল, মোটা টাকা নিতেই গ্রেফতার
এদিন হুমায়ুন বলেন, ‘কে বড় নেতা, কে ছোট নেতা তার আচরণে প্রমাণিত হয়। দিলীপ ঘোষ যে উল্লেখযোগ্য নেতা হয়ে উঠবেন এটা ২০১৫ সালের আগে কেউই জানত না। আমরা কেউ জানতাম না। হঠাৎ করে ২০১৫ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি ওনাকে সামনে আনল। রাজ্য সভাপতি করল। ২০১৬ সালে তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়ে খড়গপুরের মতো জায়গায় জিতলেন। যেখানকার ১০ বারের বিধায়ক ছিলেন জ্ঞানসিং সোহনপাল বা চাচা। তাঁকে হারানোটা কম কৃতিত্বের নয়। তাহলে সেই ব্যক্তি যখন সেখানে জিতল তারপর জনতা পার্টি তাঁকে সেখানে লোকসভা ভোটের টিকিট দিল ২০১৯ সালে। সেবারও তিনি সেখানে জিতে গেলেন। তিন বছরের মাথায়। ২০২৪ সালে তাঁকে জেতা আসনে এই শুভেন্দুরা চক্রান্ত করে বিজেপি নেতৃত্বকে বলে তাঁকে পূর্ব বর্ধমানে পাঠিয়ে দিল।'
তাঁর দাবি, 'শুভেন্দু অধিকারী চক্রান্ত করতে খুব ভালোবাসে। এই ভাবে ২০১৬ সালে চক্রান্ত করে আমাকে তৃণমূলের টিকিট পেতে দেয়নি।’
জবাবে কৌশলী অবস্থান নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এব্যাপারে আমার কী বলার থাকতে পারে? কেউ প্রশংসাও করতে পারে, কেউ নিন্দাও করতে পারে। হুমায়ুন কবির এক সময় আমার হাত ধরে আমাদের পার্টিতে এসেছিলেন। উনি ওনার ইচ্ছামতো কিছু একটা বলেছেন। এব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। তবে এটা ঠিক যে প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব মতামত দেওয়ার অধিকার রয়েছে।’