হুগলি জেলার মাহেশ থেকে গুপ্তিপাড়া–সহ একাধিক জায়গায় মহাসমারোহে পালিত হয়েছে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা। রথযাত্রা ঘিরে নানা অনুষ্ঠান করতে প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছে। এই আবহে চলতি বছর সমুদ্রসৈকত দিঘায় প্রভু জগন্নাথদেবের মন্দির উদ্বোধনের পর এবার সেখানেই প্রথমবার রথযাত্রা পালিত হবে। স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে যে ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে তাতে স্পষ্ট রথযাত্রায় ভিড়ের ঢেউ আছড়ে পড়বে দিঘায়। আর এই ভিড় সামলাতে কী কী প্রস্তুতি নিতে হবে সেটা নিয়েই আজ, বৃহস্পতিবার ১২ জুন বিকেল ৫টা থেকে নবান্নে বৈঠক ডাকা হয়েছে।
প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী, স্নানযাত্রার পর জগন্নাথদেবের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। তখন তিনি মন্দিরের গর্ভগৃহে লেপ মুড়ি দিয়ে বৈদ্যের তত্ত্ববধানে থাকেন। ওই সময় তাঁকে পাচন খাওয়াতে হয়। জ্বর ছাড়লে প্রভু জগন্নাথ মুখের স্বাদ ফেরাতে মাসির বাড়ি যান। আর সেটাকেই পুণ্যরথযাত্রা বলা হয়। ২৭ জুন সেই রথযাত্রা। তাই তার প্রস্তুতি তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে দিঘায়। ইতিমধ্যেই বহু পর্যটক সেখানে ঘাঁটি গেড়ে ফেলেছেন। যাতে ওই পুণ্য রথযাত্রায় পুজো দিতে পারেন। আবার বহু পর্যটক ঠিক তার আগে দিঘায় এসে পুজো দেওয়ার জন্য হোটেল বুক করে ফেলেছেন। সুতরাং চলতি মাসের শেষে দিঘায় বিপুল ভক্তসমাগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তিনদিন বন্ধ থাকবে বিদ্যাসাগর সেতু! এড়িয়ে চলতে বিকল্প পথে যান চলাচল করতে হবে
নিয়ম অনুযায়ী, ১০৮ ঘড়া পুণ্যবারি দিয়ে জগন্নাথদেবকে স্নান করানো হয়। ঘি, মধু এবং নানা আয়োজনে জগন্নাথদেবকে অভিষেক এবং স্নান করানোই রীতি। স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে এই রীতি পালন করা হয়েছে। গঙ্গাজল, আতর, মধু, দই এবং নানা দ্রব্যে ফুলে সজ্জিত জগন্নাথদেবকে স্নান করানো হয়েছে। এবার আসছে রথযাত্রার পুণ্যতিথি। তাই এখন সরগরম দিঘার সমুদ্রসৈকত। একইসঙ্গে সমুদ্র স্নান এবং রথযাত্রায় জগন্নাথ দেবের পুজো দুইই সম্ভব হবে পর্যটকদের কাছে। আর একসপ্তাহ পর থেকেই পর্যটকরা আসতে শুরু করবেন। তাই পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সবরকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।