দ্বিতীয় হুগলি সেতু (বিদ্যাসাগর সেতু) পেরলেই হাওড়া পৌঁছে যাওয়া যায়। আবার ওই হাওড়ার দিক থেকেও এসএসকেএম হাসপাতাল, খিদিরপুরের দিকে আসতে গেলে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতেই ওঠেন যাত্রীরা। তবে এবার ১৩ জুন তারিখ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সকালের দিকে যদি বিদ্যাসাগর সেতু পারাপার করতে যাওয়া হয় তাহলে যাত্রীদেরকে ফিরে আসতে হবে। কারণ, এই টানা তিনদিন ভোর সাড়ে ৪টে থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বিদ্যাসাগর সেতুতে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। সুতরাং এই তিনদিন তিন ঘণ্টা বিদ্যাসাগর সেতুতে সংস্কারের কাজ চলবে। তার আগে সমীক্ষার কাজের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা।
ওই তিনদিন বিদ্যাসাগর সেতুর দিকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কোন পথে চলবে গাড়ি? জেনে নিন ট্রাফিক আপডেট। পুলিশের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, জিরাট আইল্যান্ডের দিক থেকে এজেসি বোস রোড ধরে যেসব যানবাহন বিদ্যাসাগর সেতুর দিকে যাবে, সেগুলিকে টার্ফ ভিউ রোড থেকে হেস্টিংস ক্রসিংয়ের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। তখন ওই যানবাহনগুলি সেন্ট জর্জেস গেট রোড ধরে স্ট্র্যান্ড রোড হয়ে হাওড়া ব্রিজ উঠতে পারে। প্রত্যেকদিন বিপুল পরিমাণ গাড়ি যাতায়াত করে বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে। এখানে কলকাতা এবং হাওড়ার মধ্যে অন্যতম ব্যস্ত পথ এই বিদ্যাসাগর সেতু। রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন হওয়ায় বিদ্যাসাগর সেতুর গুরুত্ব অনেক বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ভগবানপুরের সমবায় নির্বাচনে বড় জয় তৃণমূল কংগ্রেসের, ঘাসফুলের ঝড়ে কাত পদ্ম
১৯৯২ সালে বিদ্যাসাগর সেতু চালু হয়। এবার এখানে সংস্কারের প্রয়োজন। আর তাই এই তিনদিন তিন ঘণ্টার জন্য যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তাই এবার জওহরলাল নেহরু আইল্যান্ডের দিক থেকে কেপি রোড হয়ে যে সব যানবাহন বিদ্যাসাগর সেতুর দিকে যাবে, সেগুলিকে ১১ ফারলং গেট দিয়ে হেস্টিংস ক্রসিংয়ের দিকে পাঠিয়ে দেবে পুলিশ। তবে সেন্ট জর্জেস গেট রোড থেকে স্ট্র্যান্ড রোড হয়ে হাওড়া ব্রিজে যাওয়া যাবে। আর খিদিরপুরের দিক থেকে সিজিআর রোড হয়ে যে সব যানবাহন বিদ্যাসাগর সেতুর দিকে যাবে, সেগুলি হেস্টিংস ক্রসিং দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।
এই বিদ্যাসাগর সেতুর স্টে কেবল পরিবর্তন করা হবে। সেতুর বিয়ারিং বদল করা হবে। তার জন্য সমীক্ষার কাজ হবে শুক্রবার, শনিবার এবং রবিবার। ভোর সাড়ে ৪টে থেকে সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এই ৩ ঘণ্টা গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে হাওড়া ব্রিজের দিকে পাঠানো হবে। সুতরাং ওই তিনদিন হাওড়া ব্রিজের উপর চাপ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সকাল সাড়ে ৭টার পর থেকে আবার যান চলাচল স্বাভাবিক হবে। হাওড়া এবং সাঁতরাগাছির সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের অন্যতম লাইফলাইন এই বিদ্যাসাগর সেতু। তাই এখানে এখন রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন।