আজ, সোমবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ সবকিছুর জন্য সিপিএমকেই দায়ী করলেন। তৃণমূল কংগ্রেসকে যখন উৎখাত করতে মরিয়া রাজ্য বিজেপির নেতারা সেখানে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা থেকে শুরু করে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা সবই সিপিএম ঘেঁটে দিয়েছে বলে কড়া আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেছেন। তবে সিপিএমের বিরুদ্ধে যেভাবে সোচ্চার হলেন সেটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এসএসসি’র ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। চাকরি হারিয়ে দিশেহারা ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী। নিজেদের অধিকার ফিরে পেতে শ্রেণিকক্ষের বদলে এখন তাঁদের ঠিকানা রাজপথ। এই আন্দোলনে অবশ্য ২৬ হাজারই নামেননি। একাংশ নেমেছেন। তাঁদের পিছনে আবার জুটি গিয়েছে সিপিএম থেকে শুরু করে এসইউসিআই–এর নেতা–নেত্রীরা। বিজেপিও ফায়দা তুলতে চাইছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। তবে এই সব ইস্যুকে সিপিএম ঘেঁটে দিচ্ছে বলে দুষলেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন: ব্রিগেড সমাবেশে বক্তা বদল করল সিপিএম, চাপ কি বাড়ল? বক্তব্য রাখবেন তরুণ নেত্রী
অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা ভারতে পালিয়ে আসছে। আর মুর্শিদাবাদ থেকে হিন্দুরা অত্যাচারে পালিয়ে যাচ্ছে। ভারতে এটা কল্পনা করা যায় না বলে অভিযোগ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এই উগ্রপন্থীদের বাংলাদেশ থেকে ঢুকিয়ে এখানে লুঠপাট চালানো হচ্ছে। সূযোগ পেলেই হিন্দুদের সম্পত্তি নষ্ট করছে মন্দির ভাঙছে, মহিলাদের ওপর অত্যাচার করছে, এই জিনিস যদি চলতে থাকে তাহলে পশ্চিমবঙ্গ পশ্চিম বাংলাদেশ হয়ে যাবে। চক্রান্তের সাথী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এটা সম্পূর্ণ করবেন। জিন্নার আধুনিক রূপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোহরাওয়ার্দীর আধুনিক রূপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি হাতে করে এটাকে পশ্চিম বাংলাদেশ করার চক্রান্ত করছেন। তাই হিন্দুরা নিরাপদ নন।’