বিধানসভা ভোটের ঠিক এক বছর আগে রাজ্যের বেসরকারি স্কুলের ফি বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে বিল আনার প্রতিশ্রুতি দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানান, এই নিয়ে কাজ করছে সরকার। তবে বিল কবে আনা হবে তার কোনও সময়সীমা এদিনও জানাননি ব্রাত্য বসু। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে সরকারের দীর্ঘসূত্রিতা ও তার পিছনের কারণ নিয়ে।
আরও পড়ুন - ‘ওদের মুসলিম বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে রাস্তায় ফেলব’, শুভেন্দুর মন্তব্যে বিতর্ক
পড়তে থাকুন - 'বসিরহাটের হিন্দুদের অবস্থা সিরিয়ার খ্রিস্টানদের মতো'
করোনাকালের পরে রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলির ফি বৃদ্ধি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন অভিভাবকরা। সেই মামলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এর পর স্বাস্থ্য কমিশনের ধাঁচে রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলিতে লাগাম পরাতে কমিশন গঠনের কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। ২০২৩ সালের অগাস্টে বিধানসভা সেকথা ঘোষণাও করেন ব্রাত্যবাবু। কিন্তু তার পর ২ বছর কাটতে চললেও সেই বিলের ব্যাপারে রাজ্য সরকারের মুখে কোনও উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি। মঙ্গলবার বিধানসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে ব্রাত্যবাবু বলেন, বেসরকারি স্কুলের ফি বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের নজরে রয়েছে। বেসরকারি স্কুলের ফি বৃদ্ধি রুখতে বিল আনতে চলেছে সরকার।
আরও পড়ুন - নারায়ণগড় TMC পার্টি অফিসে ‘ধর্ষণ’,মহিলাকে উদ্ধারকারী যুবককেই গ্রেফতার করল পুলিশ
যদিও মন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বিজেপি। বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা নেতা শংকর ঘোষ বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার পর থেকে পরিকল্পনা করে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিকে রসাতলে পাঠিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর তার জায়গায় তৃণমূলের নেতারা নামে - বেনামে একের পর এক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। তৃণমূলের ছোট খাটো নেতারও এখন একটা করে স্কুল রয়েছে। ওই বেসরকারি স্কুলগুলির মুনাফার টাকা তৃণমূলের পার্টি ফান্ডে যায়। সেই তৃণমূল রুখবে বেসরকারি স্কুলের ফি বৃদ্ধি? ওদের লক্ষ্যই শিক্ষাকে পণ্যে পরিণত করা। যাতে শুধুমাত্র বিত্তবানরাই উন্নত শিক্ষার সুযোগ পান। বেসরকারি স্কুলের ফি বৃদ্ধি রুখলে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি ফান্ডে টাকা আসা বন্ধ হয়ে যাবে।’