মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্প ‘রূপশ্রী’। বিয়ের সময় মেয়েরা এককালীন টাকা পায়। যা যে কোনও পরিবারের কাছে বড় প্রাপ্তি। তবে সেই টাকা বিয়ের প্রাক্কালে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এসে পৌঁছয়। এবার সেই টাকা বিয়ে মেটার পর এসে পৌঁছল। কেন এমন ঘটল? এবার এখানে এসে পড়েছে একটা দরিদ্র পরিবারের কথা। বাবা দিনমজুর এবং মা পরিচারিকার কাজ করেন। অভাবের সংসার। তার মধ্যেই বিয়ের খরচ কপালে ভাঁজ ফেলার জন্য যথেষ্ট। তাই ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পে আবেদন করেন নারায়ণপুরের এক তরুণী। টাকাটা এলে পরিবারের একটু সুরাহা হবে। এই কথা ভেবেই আবেদন। কিন্তু বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরও তরুণীর অ্যাকাউন্টে ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের টাকা আসেনি। এরপর খোঁজ করতেই জানা যায়, আবেদনপত্রে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরের বদলে ভুল করে কাস্টমার আইডি লিখে দিয়েছিলেন ওই তরুণী।
এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনও দোষ ছিল না। কিন্তু টাকাটা পেলে বেশ কয়েকটি ধার মেটানো সম্ভব হতো। তাই ভুলের কথা জানতে পেরে তা শোধরানোর চেষ্টা করেন ওই হতদরিদ্র পরিবার। তাই এই সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে গোটা বিষয়টি জানিয়ে আবেদন করা হয়। ব্যস, তৎক্ষণাৎ সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের এককালীন ২৫ হাজার টাকা অনুদান চলে আসে তরুণীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। টাকা পেয়ে অত্যন্ত খুশি ওই পরিবার। দেরি হওয়ায় হতাশা নেমে এসেছিল। কিন্তু তা কেটে যেতেই ভরসা আরও বেড়ে গেল মুখ্যমন্ত্রীর উপর।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুলিশ ১৬১ জনকে গ্রেফতার করেছে, দোল উৎসবে শহরে উদ্ধার বিপুল মদ
বিধাননগর পুরসভা সূত্রে খবর, ওই বিবাহযোগ্য তরুণীর বাড়ি নারায়ণপুরের পশ্চিম বেড়াবেড়িতে। এটি বিধাননগর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। ২১ জানুয়ারি ওই তরুণীর বিয়ে ছিল। তাই তিনি বিধাননগর পুরসভায় ১৮ ডিসেম্বর ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের জন্য আবেদন করে যান। আবেদনপত্র পেয়ে তদন্তে যান দফতরের কর্মীরা। তাঁরা ওই আবেদন মঞ্জুরও করেন। কিন্তু বিয়ের সময় হয়ে এলেও তরুণীর অ্যাকাউন্টে টাকা আসেনি। আর টাকা না আসায় তরুণী পুরসভায় গিয়ে খোঁজ করেন। তখন আবেদনের কাগজ খতিয়ে দেখতেই ত্রুটি ধরা পনে। ওই তরুণী নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বদলে ব্যাঙ্কের কাস্টমার আইডি লিখেছেন। সরকারি পোর্টাল থেকে কারও অ্যাকাউন্ট নম্বর সংশোধন করা যায় না।