পুজো মিটেছে। এবার নির্বাচনের পালা। আগামী ১৩ নেভম্বর বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। এই কেন্দ্রগুলি হল- সিতাই, মাদারিহাট, তালড্যাংরা মেদিনীপুর, হাড়োয়া এবং নৈহাটি। আরজি করের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও উত্তপ্ত রয়েছে বাংলা। এর প্রতিবাদে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনার পর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা এবং প্রতিবাদে সরব হয়েছে নাগরিক সমাজ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই ৬ টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন জয়ী হওয়াটা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় ভোটের লড়াইয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিতে দলের নেতা কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই নির্বাচনকে সামনে রেখে কোমর বেঁধে মাঠে নামছে শাসক দল।
আরও পড়ুন: ফের বাজল ভোটের বাদ্যি, ঘোষণা হল মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ড বিধানসভার দিনক্ষণ
আরজি করের ঘটনা সরকারের ভাবমূর্তি অনেকটাই নষ্ট হয়েছে। এই অবস্থায় কাদের প্রার্থী করলে ভোট টানা সম্ভব হবে তাই নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও এক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল যে আরজি করের ওই আন্দোলন গ্রাম অঞ্চলের দিকে খুব বেশি ছড়ায়নি। আর এই উপনির্বাচনে ৬ টি কেন্দ্রের মধ্যে শুধুমাত্র নৈহাটি হল শহরকেন্দ্রিক, বাকি কেন্দ্রগুলি গ্রাম কেন্দ্রিক। শাসক দল বিশ্বাস করে যে গ্রামাঞ্চলে তাদের ভোট অটুট রয়েছে। ফলে এই সমস্ত বিধানসভা এলাকাগুলিতে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস।
শাসকদলের নেতৃত্বের মতে, মেদিনীপুর বিধানসভার ক্ষেত্রে পুর ভোট একটি ভোট ফ্যাক্টর। তাই অভিযোগ নেই এমন কাউকে প্রার্থী হিসেবে সেখানে দাঁড় করাতে চাই তৃণমূল কংগ্রেস। আবার বেশ কয়টি কেন্দ্রে মহিলাদের প্রার্থী করার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে তৃণমূল খবর। মূলত আরজিকর আবহে রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি যেভাবে নষ্ট হয়েছে তাতে স্বচ্ছ কোনও ব্যক্তিকে উপনির্বাচনের প্রার্থী করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।