তৃণমূল বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষী পুলিশকর্মীর রহস্য মৃত্যু হোটেল ঘরে। জানা গিয়েছে, চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের দেহরক্ষী মহম্মদ সুলতানের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ইসলামপুরে হোটেলের ঘর থেকে। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বিধায়ক হামিদুল রহমানের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন সুলতান। এই ঘটনায় রহস্য ঘনিয়ে আসতেই আটক করা হয়েছে এক মহিলাকে। জানা গিয়েছে, স্ত্রী পরিচয়ে সেই মহিলাকে নিয়েই হোটেল ঘরটি ভাড়া নিয়েছিলেন সুলতান। সুলতানের বাড়ি মালদা জেলার সুলতানগঞ্জে। এদিকে সুলতানের সঙ্গে আটক মহিলার কী সম্পর্ক তা নিয়েছে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। (আরও পড়ুন: ফের কেঁপে উঠল বাংলা, ভোররাতের ভূমিকম্পে ভাঙল অনেকের 'গভীর ঘুম')
আরও পড়ুন: পুণেকাণ্ডে অভিযুক্ত গ্রেফতার, ধর্ষণের প্রায় ৬৬ ঘণ্টা পর পুলিশের জালে দত্তাত্রেয়
এদিকে টিভি৯ বাংলার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পুলিশ সূত্রে নাকি জানা গিয়েছে, হোটেল ঘরের বিছানায় অত্যন্ত অবিন্যস্ত অবস্থায় ছিল সুলতানের মৃতদেহ। মৃত্যুর কারণ জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে হোটেলের ম্যানেজার থেকে কর্মীদের। আটক মহিলাকেও জেরা করা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই মহিলা দাবি করেছেন, তিনি বাথরুম গিয়েছিলেন। এরপর ঘরে ঢোকার সময় তিনি দেখেন অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন সুলতান। তারপর তিনি হোটেলের লোকজনদের ডাকেন সেখানে। এই আবহে সেই ঘরে অন্য কেউ ঢুকেছিল কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে বিয়ারের বোতল ও ২টি কাচের গ্লাস। এদিকে জেরার মুখে হোটেল মালিক জানিয়েছেন, হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সুলতান। (আরও পড়ুন: নয়া প্রধান পাচ্ছে SEBI, শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রকের মাথায় বসতে চলা তুহিন কে?)
উল্লেখ্য, ২৭ ফেব্রুয়ারি তৃণমূলের সভায় যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন বিধায়ক হামিদুল রহমান। এই ফাঁকে ইসলামপুরের তিস্তাপাড়ের একটি হোটেলে গিয়েছিলেন সুলতান। দুপুরের পরে সুলতানের সঙ্গে ঘরে থাকা সেই মহিলা হোটেলের লোকজনদের ডেকে আনেন। সেই সময় বিছানায় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় সুলতানকে। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলেই পুলিশ নিশ্চিত ভাবে জানতে পারবে যে সুলতানের মৃত্যু কী কারণে হয়েছে বা তাঁকে খুন করা হয়েছে কি না। এদিকে বিধায়কের দীর্ঘদিনের নিরাপত্তারক্ষীর এহেন মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই জেলার রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।