বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি চলে গিয়েছে প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের। অভিযোগ, সেই খবর সামনে আসতেই শিক্ষিকার বাড়িতে চড়াও হন পাওনাদাররা। তাঁদের অভব্য আচরণের পরে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন ক্যানিংয়ের এক শিক্ষিকা। জানা যায়, শিক্ষিকা তাঁদের কাছে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সময় চাইলেও তাতে রাজি হননি পাওনাদাররা। উলটে শিক্ষিকার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। তারপরেই এই পদক্ষেপ করেন ওই শিক্ষিকা।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম নির্দেশে চাকরি হারানোর পর আইনি পথ আছে একটাই! কী বলছেন আইনজীবীরা?
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশি করে ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিজের জীবন শেষ করতে চেয়েছিলেন শিক্ষিকা। তার আগে তিনি একটি নোট লেখেন। সেই নোটে বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে, তাঁরা সকলেই পাওনাদার বলে দাবি পরিবারের। এদিকে, এই ঘটনার পরেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিক্ষিকাকে ভর্তি করা হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষিকা একাধিক জনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন। পাড়ার সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে আরও অনেকের কাছ থেকে তিনি বেশ কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা তিনি শোধ করতে পারেননি।বৃহস্পতিবার যখন সুপ্রিম কোর্টের রায় সামনে আসে তখন পাওনাদাররা একে একে তাঁর বাড়িতে হাজির হয়ে টাকা দাবি করেন।