নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার মাজদিয়ায় বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে একের পর এক বাঙ্কার আবিষ্কার করেছে BSF. সেই ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন স্থানীয়রা। মাজদিয়ার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যে ব্যক্তির জমিতে বাঙ্কারগুলি উদ্ধার হয়েছে তিনি মাদক পাচারের পুরনো পাপী। পুলিশের চোখ এড়াতে সাধুর বেশে ঘুরে বেড়াতেন অভিযুক্ত।
মাজদিয়া সীমান্তে যে ৪টি বাঙ্কার BSF আবিষ্কার করেছে সেগুলি স্থানীয় সুশান্ত ঘোষ ওরফে লাল নামে এক ব্যক্তির জমিতে ছিল বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এই লাল এলাকার পুরনো মাদকপাচারকারী। দীর্ঘদিন ধরে মাদকের কারবার করে সে। প্রায় ৭ বছর আগে মাদক কারবারে যুক্ত থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ৩ বছর জেলবন্দি ছিল এই লাল। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে নিজের হুলিয়া বদলে ফেলে এই পাচারকারী। গেরুয়া পরে খোল করতাল নিয়ে কীর্তন দলে যোগদান করে সে। তার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় কীর্তন করে বেড়াত লাল ওরফে সুশান্ত ঘোষ।
তদন্তে উঠে এসেছে, মূলত ফেন্সিডিল পাচার করতে তৈরি করা হয়েছিল বাঙ্কারগুলি। সীমান্তের কাছে মাটির নীচে বাঙ্কারে লুকিয়ে রাখা ছিল প্রায় ৬২ হাজার বোতল ফেন্সিডিল। যার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে নিজে পাচারের কারবার করতেন না লাল। বেশ কয়েকজন শাগরেদ ও আত্মীয়কে দিয়ে কারবার চালাতেন তিনি। তবে পুলিশের নজর এড়িয়ে কী ভাবে বাঙ্কার তৈরি সম্ভব হল সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।