মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে। আর তারপর থেকেই ফের সামনে আসছে বর্ধমানের খাগড়াগড় কাণ্ড। ২০১৪ সালের অক্টোবর সেই খাগড়াগড়েই ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছিল জঙ্গি ডেরায়। আর সেই খাগড়াগড়ের ১০ বছর পরে ফের জঙ্গি আতঙ্ক।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের জঙ্গি গোষ্ঠীর স্লিপার সেলের এক মহিলা সদস্যা মঙ্গলকোটে ঢুকে পড়েছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, বর্ধমানে বিঘের পর বিঘে জমিতে ধান চাষ হয়। সেই ধান চাষের জন্য প্রচুর খেতমজুর সেখানে আসেন। এমনকী প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ড ও মুর্শিদাবাদ জেলা থেকেও প্রচুর খেতমজুর আসেন পূর্ব বর্ধমানে।আর সবথেকে উদ্বেগের বিষয় হল সেই খেতমজদুরদের সঙ্গে মিশে আনসারুল্লা বাংলা টিমের সদস্যরা সংগঠন বাড়ানোর ছক কষতে পারে। এই সময় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে বিষয়টি জানা গিয়েছে। তবে এনিয়ে খোঁজখবর করছেন গোয়েন্দারা।
তবে ইতিমধ্য়েই এসটিএফ এনিয়ে খোঁজ নিচ্ছে। আর যাতে কোনও খাগড়াগড় না হয় সেটা দেখা হচ্ছে। এসটিএফ পূর্ববর্ধমানের একাধিক ব্লক যেমন খাগড়াগড়, বাদশাহি রোড, কুলসোনা, শিমুলিয়ার মতো জায়গার উপর নজর রাখছে। এদিকে খাগড়াগড় কাণ্ডের পরে একাধিক মহিলা জঙ্গির খোঁজ মিলেছিল। রীতিমতো প্রশিক্ষণ নিতেন তারা। সেক্ষেত্রে তেমন কোনও মহিলা জঙ্গি ঢুকে পড়েছে কি না তা নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদ আব্বাস আলি ও মিনারুল শেখকে। এই দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করার পরে তাদের একাধিক ছক সামনে আসতে শুরু করেছে। আর সেসব ছক একেবারে বিস্ফোরক।
মহম্মদ আব্বাস আলি মোটর পাম্পের মেকানিক। আর মিনারুল শেখ মাদ্রাসা চালাতেন। আব্বাসকে পুলিশ আগে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতার করেছিল। ২ বছর জেল খেটেছেন।
সূত্রের খবর, আনসারুল বাংলা টিমের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাদের। মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার করা হয়েছিল দুজনকে। তাদের কাছে যে পেনড্রাইভ মিলেছে সেখানে রয়েছে বাংলাদেশের এক কট্টরপন্থী নেতার উসকানিমূলক বক্তৃতা। এমনটাও জানা গিয়েছে।
সবথেকে উদ্বেগের বিষয় হল তারা শিলিগুড়ি করিডরকে অশান্ত করার জন্য ছক কষছিল। মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত ২জনকে গ্রেফতার করে, তাদের জেরা করে একের পর এক তথ্য় আসছে গোয়েন্দাদের কাছে। সেসব একেবারে বিস্ফোরক। মূলত বাংলা ও অসমে অত্যন্ত গোপনে অস্থির পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছিল তারা।