দাম্পত্য কলহ তখন চরমে উঠেছে। যে কোনও মুহূর্তে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে একজন আহত হতে পারেন এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। আর সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং দাম্পত্য কলহ থামাতে যায় পুলিশ। আর তখনই আক্রান্ত হয় পুলিশ। পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা সামনে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ সরাসরি পুলিশ উপর হামলা করা আইনত অপরাধ। সেখানে রাগের চোটে পুলিশের উপর এমন হামলা হওয়ায় তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
শুধু তাই নয়, ওই পুলিশ অফিসার এবং কনস্টেবলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। যা খুনের চেষ্টার অপরাধের মধ্যে পড়ে। আর ওই হামলার জেরে মারাত্মক জখম অবস্থায় ওই পুলিশ অফিসার ও এক কনস্টেবল ভর্তি হাসপাতালে। এই হামলা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশহারীতে এখন এটাই চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছে। কারণ এখানে পুলিশ ভাল কাজ করার জন্যই গিয়েছিল। পুলিশ যদি সেখানে না যেত তাহলে ওই ব্যক্তির স্ত্রীর উপর আক্রমণ নেমে আসত। তাতে একটা খুনের ঘটনা ঘটতে পারত। সেটা ঠেকাতে গিয়েই আক্রান্ত হলেন পুলিশ অফিসার এবং কনস্টেবল বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: কন্যাশ্রী প্রকল্পতেও এবার যুক্ত করা হচ্ছে এআই, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে রাজ্যের বড় উদ্যোগ
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম বিপুল হাজরা। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ কর্মীদের উপর আক্রমণ করা এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ব্যক্তির বাড়ি বুনিয়াদপুর পৌরসভার শিবপুর এলাকায়। গতকাল নিজের বাড়িতে বিপুল এবং তার স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া চলছিল। তার জেরে স্ত্রীকে মারধর করছিল স্বামী বিপুল বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা তা দেখে খবর দেয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ওই দাম্পত্য কলহ থামাতে যায়। তখন পুলিশের গাড়ি দেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বিপুল। তার স্ত্রীকে স্থানীয় রশিদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।