নাকা পয়েন্টে ডিউটির সময় পুলিশ আধিকারিকের সার্ভিস রিভলভার ছিনিয়ে নিজের মাথায় গুলি চালিয়েছিলেন রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের কনস্টেবল বিভাস ঘোষ। ১০ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর মৃত্যু হল এই কনস্টেবলের। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে কনস্টেবলের পরিবারে।
আরও পড়ুন: স্ত্রী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, জামাইষষ্ঠীর পরে কাজে এসেই মাথায় গুলি কনস্টেবলের
ঘটনাটি ঘটেছিল ২ জুন রাতে। বনগাঁ পুলিশ জেলার গোপালনগর থানার অধীনে ১০ মাইল এলাকায়। দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিকের কাছ থেকে রিভলভার ছিনিয়ে নিয়ে নিজের মাথায় গুলি চালান ২৭ বছর বয়সি ওই কনস্টেবল। সহকর্মীরা সঙ্গে-সঙ্গে তাঁকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তর করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।
কিন্তু, তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হল না। নদিয়ার বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা বিভাস। পুলিশে পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন কনস্টেবল হিসেবে। পুলিশের দাবি, মানসিক অবসাদের কারণেই এমন পদক্ষেপ করেছেন বিভাস। তবে সেই দাবি মানতে নারাজ তাঁর পরিবার। তাঁদের দাবি, কাজের জায়গায় তৈরি হওয়া চাপ ও অশান্তিই হয়তো তাঁকে এই পথে ঠেলে দিয়েছে।
বিভাসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ছোটবেলায় মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই একাকিত্ব গ্রাস করে বসেছিল তাঁকে। বাবা দ্বিতীয়বার বিয়ে করার পর কারও সঙ্গে তেমন মিশতেন না। নবদ্বীপের এক মনোরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসাও চলেছিল বলে জানা গিয়েছে। পড়াশোনায় ভালো ছিলেন বিভাস। উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পাশ করে বায়োসায়েন্সে স্নাতক হন। লক্ষ্য ছিল শিক্ষকতা। বিএড-ও সম্পূর্ণ করে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসতেন নিয়মিত। শেষপর্যন্ত কনস্টেবল পদে নিয়োগের সুযোগকেই বেছে নিয়েছিলেন তিন বছর আগে।