তরুণী সহকর্মীর যোগসাজশেই কি বেঘোরে প্রাণ দিতে হল ২৭ বছরের এক তরুণকে? পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের একটি ঘটনায় এমনই এক তত্ত্ব ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠছে। এক যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায়, তাঁর পরিবারের দায়ের করা এফআইআর-এর ভিত্তিতে নিহতের অফিসেরই এক মহিলা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ৪ জুন (২০২৫)। ওই দিন রাতে দুর্গাপুরের কুলটি থানার অন্তর্গত সীতারামপুর-এথোড়া রোড থেকে এক যুবকের গলাকাটা দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে সামনে এসেছে, নিহত যুবকের নাম দেবজ্যোতি সিং। তিনি জামুরিয়া থানার অন্তর্গত নিঘা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ করেছেন দেবজ্যোতির পরিবারের সদস্যরা। এবং তার জন্য এক তরুণীকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তাঁরা। দেবজ্যোতির পরিবারের সদস্যদের তরফে দাবি করা হয়, পাম্মি শর্মা নামে এক তরুণীর জন্যই কারণেই অকালে চলে যেতে হয়েছে তাঁদের বাড়ির ছেলেকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ বছরের পাম্মি শর্মা আদতে পুরুলিয়া জেলার পারবেলিয়া এলাকার বাসিন্দা এবং তিনি প্রয়াত যুবকের সহকর্মী।
দেবজ্যোতির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ পাম্মিকে ডেকে পাঠায় এবং তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, পাম্মির বক্তব্যে বিস্তর অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। তার জেরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ পাম্মিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও জেরা করতে চায়। আজ (বৃহস্পতিবার - ১২ জুন, ২০২৫) ধৃত এবং অভিযুক্ত পাম্মি শর্মাকে আসানসোল জেলা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।