সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই রমরমিয়ে চলছিল মধুচক্র। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সেখানে হানা দিয়ে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাদের তিন দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অন্যদিকে, উদ্ধার হওয়া তরুণীদের হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তাজপুরে মধুচক্র চালানোর অভিযোগ।
বাংলায় পর্যটকদের অন্যতম ঠিকানা হল তাজপুর। উৎসবের মরশুমে সেখানে উপচে পড়া ভিড় হয় পর্যটকদের। সামনে বড়দিন, তারপরে নববর্ষ। এই দুই উৎসবকে কেন্দ্র করে সেখানে পর্যটকদের ভিড় হবে। তার আগে সেখানে বড়সর মধুচক্রের পর্দা ফাঁস করল পুলিশ। তাজপুরের বিভিন্ন হোটেলে হানা দিয়ে দুজন লিজ মালিকসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এর পাশাপাশি ১৬ জন তরুণীকে উদ্ধার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই রমরমিয়ে চলছিল মধুচক্র। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সেখানে হানা দিয়ে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাদের তিন দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অন্যদিকে, উদ্ধার হওয়া তরুণীদের হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত এখানে বেড়াতে আসে পর্যটকদের প্রলোভন দেখিয়ে মধুচক্রের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করায় তাদের উদ্দেশ্যে ছিল। আর উদ্দেশ্যে হোটেল ব্যবসার আড়ালে সেখানে মধুচক্র চালানো হচ্ছিল। ধৃত ৭জনের নাম হল সমীর প্রধান, সোমনাথ প্রধান, মির্জা সত্তার বেগ, কার্তিক জানা, শুভঙ্কর গিরি, শুভময় পণ্ডা এবং তারক মাঝি। ধৃতরা সকলে পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। এর মধ্যে প্রথম দুজন হোটেলের লিজ মালিক। উদ্ধার হওয়া তরুণীরা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, দার্জিলিং, ক্যানিং, বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা। টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের দেহ ব্যবসায় নামানো হয়।