মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের ঠিক আগে বিদ্রোহের সন্দেশখালি থেকে উঠল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের অভিযোগ। স্থানীয় হিন্দুদের দাবি, গত কয়েক বছরে সন্দেশখালি দ্বীপের অপর প্রান্তে খুলনাপাড়ে লাফিয়ে বেড়েছে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি মুসলিমদের বসতি। এমনকী তাদের অনেকের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগ থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। সন্দেশখালির হিন্দুদের দাবি, অবিলম্বে নতুন বসতি এলাকায় বসবাসকারীদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা হোক।
সন্দেশখালি দ্বীপের পূর্বপাড়ে নদী পার করলে পৌঁছে যাওয়া যায় খুলনা গ্রামে। সেখান থেকে ভাণ্ডারখালি - দুলদুলি হয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত অধঘণ্টার পথ। সন্দেশখালির বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, বছর দশেক আগেও খুলনা পাড়ে কয়েক ঘর মুসলিমের বসতি ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেখানে লাফিয়ে বেড়েছে বসতি। সন্দেশখালির হিন্দুদের দাবি, খুলনাপাড়ের বাসিন্দাদের মেয়েদের অনেকের বিয়ে হয়েছে বাংলাদেশে। সেই সূত্রে তাঁদের স্বামীরা সপরিবারে ভারতে এসে বসবাস শুরু করেছেন। এমনকী বসতি বাড়তে বাড়তে পৌঁছে গিয়েছে নদীর ধার পর্যন্ত।
স্থানীয় এক মহিলা জানিয়েছেন, ‘আমার ওখানে দোকান আছে। খুলনাপাড়ে অচেনা অজানা লোকের যাতায়াত লেগেই থাকে। যাদের দেখে বাংলাদেশি বলে সন্দেহ হয়। অনেকের গতিবিধি দেখে মনে হয় তাদের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগ থাকলেও থাকতে পারে। এব্যাপারে পুলিশ ও প্রশাসনের তৎপর হওয়া উচিত।’
স্থানীয় এক বৃদ্ধ বলেন, ‘বছর দশেক আগেও ওখানে ওরা ২ - ৩ ঘর ছিল। ২০১৮ সালের পর থেকে লাফিয়ে বসতি বাড়তে থাকে। ওরা বলে যারা এসেছে তারা ওদের আত্মীয়। কিন্তু তারা যে বাংলাদেশ থেকে এসেছে এব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই।’