রাজ্যে জঙ্গি অনুপ্রবেশের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। যে ক্যানিং থেকে গ্রেফতার হয়েছে কুখ্যাত কাশ্মীরি জঙ্গি জাভেদ আহমেদ মুন্সি। মঙ্গলবার রাতে এক দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান করে শওকত বলেন, সীমান্তের দায়িত্ব তো কেন্দ্রীয় সরকারের। তাহলে জঙ্গি অনুপ্রবেশের দায় কী ভাবে রাজ্য সরকারের হতে পারে?প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করে শওকত বলেন, ‘আমি প্রশ্ন করতে চাই এই শুভেন্দু অধিকারীর মতো গদ্দারকে, আজ বাংলায় জঙ্গি ঢুকলে তার দায়ভার কার? তার দায়ভার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়, বাংলার স্বরাষ্ট্র দফতরের নয়। তার দায়ভার হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের। কোথায় গেল ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির বড় বড় কথা? কোথায় আছেন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী? BSF কী করছে? সম্পূর্ণ দায়ভার তো কেন্দ্রীয় সরকারের। ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তের সমস্ত দায়িত্ব তো ভারত সরকারের। আজ পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, নেপাল থেকে জঙ্গি আসে তার দায়ভার কার? ভাবতে অবাক লাগছে, নিজের TRP কমে যাচ্ছে, প্রত্যেকটা ভোটে গো-হারা হারছে, আর তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দোষারোপ করে, কুৎসা করে নিজের টিআরপি বাড়াতে চাইছে? এটা একটা লজ্জা।’মঙ্গলবার রাজ্য জঙ্গি অনুপ্রবেশের জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘গোটা ভারতে গত ২ - ৩ বছরে যত জঙ্গি ধরা পড়েছে তাদের পশ্চিমবঙ্গ যোগ পাওয়া গিয়েছে। তার কারণ পশ্চিমবঙ্গের বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ে ও কামালগাজি থেকে যে রাস্তা ক্যানিং হয়ে গোসাবার ঘাট পর্যন্ত গেছে, এই রাস্তাদুটো জঙ্গিদের হাতে চলে গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য এটা হয়েছে। গোসাবায় ১৩টা দ্বীপ আছে। একটা দ্বীপে বিএসএফের ১টা ক্যাম্প আছে। বাকি দ্বীপগুলোয় কোথাও কেউ নেই। ভাষা, পোশাক এক হওয়ায় এরা মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মিশে ক্যানিং - বারুইপুর - কামালগাজি হয়ে এরা ভারতে ঢুকে পড়ছে। অথবা বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে সায়েন্স সিটি দিয়ে ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়ছে।’বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ কোনও নতুন ঘটনা নয়। তবে পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশের পর যে ভাবে সহজেই জঙ্গিরা ভারতীয় নথি বানিয়ে ফেলছে তা উদ্বেগের। নীচুতলার জনপ্রতিনিধিদের একাংশের মদত না থাকলে এই কাজ সম্ভব নয়। সে যতই অস্বীকার করুক তৃণমূল।