সাধারণত মাছকে দীর্ঘ দিন টাটকা রাখার জন্য মাছ ব্যবসায়ীরা ফরমালিন মিশিয়ে রাখেন। রুই-কাতলা থেকে চাপড়া চিংড়ি, সবেতেই এই রাসায়নিক মিশিয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু, মাছ টাটকা থাকলেও এই রাসায়নিক মানব শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। ফরমালিন মেশানো মাছকে দেখে টাটকা মনে হয় আর তা খাওয়ার পরেই ঘটে বিপত্তি। পুজোর সময় এখন ভরা ইলিশের মরশুম। চাহিদাও তুঙ্গে। সেই কথা মাথায় রেখেই প্রতিবারের মতো এবারও ইলিশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। এই অবস্থায় এই রাসায়নিক ইলিশে মেশানো হচ্ছে কিনা বা কতটা পরিমাণ মেশানো হচ্ছে? তা জানতে অভিযানে নামলেন স্বাস্থ্য বিভাগের খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: ২ দশক পর দামোদর নদে ধরা পড়ল ইলিশ, নিলামে তোলা হলে কত দাম পেল সেই মাছ?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাছে মেশানো ফরমালিন শরীরে গেলে তাতে এক দিনেই হয়তো অনেকটা ক্ষতি হয় না, কিন্তু দিনের পর দিন এই রাসায়নিক মেশানো মাছ খেলেই বিপদ হতে পারে। এমনিতেই ইলিশ মাছ বরফে রাখা হয়। তার পরেও তাতে ফরমালিন অত্যাধিক মাত্রায় মেশানো হচ্ছে কি না তা জানতেই এই অভিযান।
সাধারণত প্রতিবাদ পুজোর মরশুমে বাজারে ইলিশ মাছের চাহিদা থাকে। এবারও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ইলিশের। কম বেশি সব বাজারেই ছোট থেকে শুরু করে বড় মাপের ইলিশ দেদার বিক্রি হচ্ছে। আর সেই ইলিশে কতটা পরিমাণ ফরমালিন মেশানো হচ্ছে তা জানতেই খাদ্য সুরক্ষার অধিকারিকরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। জানা গিয়েছে , মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার স্বাস্থ্য বিভাগের খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকরা গড়িয়ার কিষাণ বাজারে যান। সেখানে প্রায় সাড়ে তিন কেজি ওজনের ইলিশ মাছের নমুনা সংগ্রহ করে তারা পাঠিয়েছেন ল্যাবরেটরিতে। সে ক্ষেত্রে মাছে নির্ধারিত সীমার বাইরে ফরমালিন পাওয়া গেলে পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।