দ্রুত সেতুর ডিপিআর কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করে পূর্ত দফতর। কোস্টাল রেগুলেশন জোনের ছাড়পত্র মিলেছে। এখন সেতুর ডিপিআর রয়েছে স্টেট এনভায়রনমেন্ট ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট অথরিটির কাছে। সেতুটি জাতীয় সড়কের অংশ হয়ে উঠতে পারে বলে তার ডিপিআর–সহ সবদিক খতিয়ে দেখে গেজেট প্রকাশ করবে কেন্দ্র।
গঙ্গাসাগর
বারাণসী–গঙ্গাসাগর সড়কপথে কি জুড়ে যাচ্ছে? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলার মানুষের মধ্যে। কারণ রাজ্যের ৩৭ কিলোমিটার রাস্তা এবার জাতীয় সড়কে বদলে যাচ্ছে বলে খবর। আর তা যদি ঘটে তাহলে গঙ্গাসাগরের কপিলমুণি আশ্রম, লট–এইট হয়ে কাকদ্বীপের কাশীনগরে এসে মিশবে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে। তখন আবার মুড়িগঙ্গার উপর প্রস্তাবিত সেতু নির্মাণ করতে হবে জাতীয় সড়কের অংশ হিসেবে। সুতরাং গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে বাংলার বুকে একটা বড় কাজ হবে। এমনকী দুই তীর্থস্থান একসূত্রে গাঁথা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই বিশেষ গুরুত্ব দেন গঙ্গাসাগরে। তার ফলে গঙ্গাসাগরের সঙ্গে সংযোগকারী প্রত্যেকটি রাস্তারই দারুণ উন্নয়ন হয়েছে। তবে এখানে প্রত্যেক বছর সাগরমেলার সময় মানুষ ও যানবাহনের চাপ বাড়ে। এই উন্নত রাস্তাগুলির উপর দিয়েই সবকিছু যাতায়াত করে। তাই রাজ্যের এই ৩৭ কিলোমিটার রাস্তা জাতীয় সড়কের মর্যাদা পেলে অ্যপ্রোচ রোড–সহ সাড়ে চার কিমি দৈর্ঘ্যের প্রস্তাবিত মুড়িগঙ্গা সেতুকে মাঝখানে রেখে গঙ্গাসাগর থেকে কাশীনগর পর্যন্ত রাস্তার পুরোটাই চওড়া ও মজবুত হবে। সেতুটিও চার লেনের হবে।
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, এই রাস্তাকে জাতীয় সড়ক হিসেবে ঘোষণা করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে। তাই এখন জুড়ে গিয়েছে মুড়িগঙ্গা নদীর উপর প্রস্তাবিত সেতুর বিষয়টি। কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক এবং নবান্নের উচ্চপদস্থ কর্তাদের মধ্যে এই গোটা প্রকল্পটি নিয়ে বৈঠক হয়। তারপরই দ্রুত সেতুর ডিপিআর কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করে পূর্ত দফতর। ইতিমধ্যেই কোস্টাল রেগুলেশন জোনের ছাড়পত্রও মিলেছে। এখন সেতুর ডিপিআর রয়েছে স্টেট এনভায়রনমেন্ট ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট অথরিটির কাছে। সেতুটি জাতীয় সড়কের অংশ হয়ে উঠতে পারে বলে তার ডিপিআর–সহ সবদিক খতিয়ে দেখে গেজেট প্রকাশ করবে কেন্দ্র। তখনই জানা যাবে, নয়া এই জাতীয় সড়কের মানচিত্র–নাম।